রাজ্যপাল-কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পরই কি বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারি?
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ও ভোটের দিনেও বাংলার বিভিন্নপ্রান্তে 'অশান্তি' কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নিজের রিপোর্ট তৈরি করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ভোট মিটতে না মিটতেই রবিবার দিল্লি রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল। সঠিক সময়ে নিজের রিপোর্ট পেশ করবেন বলেও জানান রাজ্যপাল।
বাংলার গ্রামীণ জনগণকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শনিবার ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথে রাস্তায় নেমেছিলেন। তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
রাজ্যপাল শনিবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে "ব্যালট এবং বুলেটের মধ্যে যুদ্ধ" হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছিলেন যে তিনি রাজ্য জুড়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেবেন।
বাংলায় আজ ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন। দিল্লিতে আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রাজ্যপালের। আজ সন্ধ্যায় নর্থ ব্লকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এ সময় বাংলায় সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলার পরিস্থিতি অমিত শাহকে জানাবেন রাজ্যপাল। বৈঠকের পরে বাংলার পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কি চরম সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি? রাজনৈতিক মহলে এখন এটাই প্রশ্ন। প্রশ্ন রাজ্যপাল-কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পরই কি বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারি হতে চলেছে?
প্রসঙ্গত ৩৫৫ ধারা হল ভারতীয় সংবিধানের একটি বিধান যা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যেকোনো রাজ্যে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ করেছেন বিএসএফের ডিআইজি এসএস গুলেরিয়াও। ডিআইজি বলেছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র 7 জুন স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা দিয়েছে। তার অবস্থান বা অন্য কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ) এবং 25টি রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশের 59 হাজার সৈন্যও এখানে উপস্থিত ছিল, তবে এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়নি।
গত এক মাসের পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যায়, এর মধ্যে ৩৮টির বেশি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ৮ জুন নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। কোচবিহারে কয়েকজনকে ব্যালট বাক্স নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া এখানে অনেক ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আজ উপনির্বাচনেও একাধিক যায়গায় বোমাবাজির খবর পাওয়া যাচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতিতেও বিভিন্ন এলাকাই উত্তপ্ত। এমন পরিস্থিতিতে বাংলায় কি জারি হতে চলেছে ৩৫৫ ধারা ? রাজ্যপাল-কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলার জনগন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊