Guru Purnima 2023 । গুরু পূর্ণিমা ২০২৩ । गुरु पूर्णिमा । 


moon



আষাঢ়ের পূর্ণিমাকে বলা হয় গুরু পূর্ণিমা (Guru Purnima)। বিশ্বাস প্রথম গুরুর জন্মের দিন হল এই গুরু পূর্ণিমা। সদগুরুর মতে- "যোগের সংস্কৃতিতে, শিবকে ভগবান মানা হয় না, তাকে আদি-যোগী বলে গণ্য করা হয়। সর্বপ্রথম যোগী। যেই দিন তিনি নিজেকে এক গুরু হিসেবে রূপান্তরিত করলেন, আদি-যোগীতে রূপান্তরিত করলেন, সেই পূর্ণিমার দিনটিকে গুরু পূর্ণিমা হিসেবে উদযাপন করা হয়।"




আজ গুরু পূর্ণিমা (guru purnima 2023)। গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে গতকাল রাত্রি ২ টা ৫৭ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়েছে পূর্ণিমা। থাকবে ১৩ জুলাই রাত্রি ১২ টা ২৮ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড পর্যন্ত।






জানাযায়- গুরু পূর্ণিমা (Guru Purnima) এই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোর মধ্যে একটি ছিল। ধর্ম ও জাতি নির্বিশেষে এটি উদযাপন করতো। অর্থ নয়-সর্বোচ্চ মান ছিল জ্ঞান (knowledge)। আর সেই কারণেই গুরুর (guru) স্থান ছিল সর্বোপরি।










কিছু আশ্রমে এখনও হয়তো বিক্ষিপ্তভাবে এটা পালন করা হয়, কিন্তু বেশীরভাগ মানুষই অবগত নন এই দিনটির গুরুত্ব সম্বন্ধে।








‘গুরু' শব্দটি 'গু' এবং 'রু' এই দুটি সংস্কৃত শব্দ দ্বারা গঠিত; ‘গু’ শব্দের অর্থ “অন্ধকার” বা “অজ্ঞতা" এবং 'রু' শব্দের অর্থ “যা অন্ধকারকে দূরীভূত করে"- অর্থাৎ, 'গুরু' শব্দটি দ্বারা এমন ব্যক্তিকে নির্দেশ করা হয় যিনি অন্ধকার দূরীভূত করেন।












প্রাচীন আর্য সমাজে শিক্ষক (teacher) বা গুরুর (guru) স্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বােঝা যায় যখন ছাত্র-শিক্ষক বা গুরু-শিষ্য পরম্পরাকে সম্মানিত করতে একটি দিন উৎসর্গ করা হয়। আর এই দিনটি হল গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima)।








পুরাণ মতে মহাদেব (mahadev) হলেন আদি গুরু (Adi Guru) । তাঁর প্রথম শিষ্য হলেন সপ্তর্ষির সাতজন ঋষি-অত্রি, বশিষ্ঠ, পুলহ, অঙ্গীরা, পুলস্থ্য,মরীচি এবং ক্রতু। আদিযােগী শিব এই তিথিতে আদিগুরুতে রূপান্তরিত হন | তিনি এদিন ওই সাত ঋষিকে মহাজ্ঞান প্রদান করেন।




এই দিনটিকেই শিক্ষকদিবসের (Teachers Day) আদিরূপ ধরা হয়। তাই নেপালে এই দিনটি শিক্ষক দিবস ও জাতীয় ছুটি হিসেবে পালিত হয়। ভারতেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই দিন ছাত্র ছাত্রীরা তাদের জীবনে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তাঁদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে থাকে।




শোনাযায় বুদ্ধও, তাঁর বােধিজ্ঞান লাভের এক মাস পর, এই আষাঢ়ের পূর্ণিমাতেই, সারনাথে। গিয়ে তাঁর পাঁচ প্রাক্তন সঙ্গীকে প্রথম উপদেশ দিয়েছিলেন, যাকে বলে ধম্ম-চক্কপত্তন সুত্ত। তার পরেই তিনি বর্ষার চার মাস কাটিয়েছিলেন মূলগন্ধ-কুটিতে, এই সময়টাই বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের অনুসারীদের আত্মসংযমের সময়, যখন মাংস বা মাছ বা অন্যান্য কিছু খাবার থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হয়।




সিংহল দেশের মানুষেরাও এখনও এই বর্ষাবাস পালন করেন, তাঁদের ক্যালেন্ডারে যখন বর্ষা আসে সেই অনুযায়ী, আর থাইল্যান্ডের বৌদ্ধরা একে বলেন ফানসা এবং জুলাই থেকে অক্টোবর অবধি এটি বেশ অনুগত ভাবেই পালন করেন।