Dearness Allowance news : ডি.এ আন্দোলনের সমর্থনে পীরজাদা নৌসাদ সিদ্দিকির প্রতীকি অনশন
গৌতম সাহা, কোলকাতাঃ
আজ শহীদ মিনারের অনশন মঞ্চে একদিনের প্রতীকি অনশনে যোগ দিয়ে তিনটি প্রাসঙগিক ও নায্য দাবীর সাপেক্ষে সমর্থন তথা সংহতি প্রকাশ করলেন পীরজাদা নৌসাদ সিদ্দিকি। বর্তমানে তিনি বহুচর্চিত ISF দলের বিধায়কও বটে। সাবলিল বক্তব্য তথা সঠিক তথ্য-যুক্তিতে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি নিজে অনশনকারীদের সঙগে সূর্যাদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নির্জলা অনশন করলেন। শহীদ মিনারের আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা যোগ করে হাজার হাজার কর্মচারীদের নয়নের মণি হয়ে উঠলেন পীরজাদা নৌসাদ সিদ্দিকি। কিছুদিন আগে তিনি এই মঞ্চে উপস্থিত হয়ে জানিয়ে ছিলেন যে তিনিও একদিন দাবীর সপেক্ষে অনশনে বসবেন। তিনি তার কথামত একদম কাকভোরে শহীদ মিনারে এসে উপস্থিত হন এবং পূর্ব ঘোষণা মত অনশনে বসেন। মঞ্চে উপস্থিত হাজার হাজার কর্মচারীদের সামনে তিনটি দাবীর পক্ষে জোরালো আওয়াজ তোলেন।
নায্য ডি.এ, স্বচ্ছ নিয়োগ ও চাকরীতে অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণ - এই তিনটি দাবী নিয়েই অনশন সহ অবস্থান কর্মসূচী চলছে শহীদ মিনারের পাদদেশে এই মঞ্চে।
আজ অবস্থানের ৫১ দিন ও অনশনের ৩৭ দিন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ সমস্ত কর্মচারীদের এই সংহতি এই সমর্থনের জন্য নৌশাদ সাহেব কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপস্থিত সমস্ত কর্মচারীদের এই তিনটি দাবীর জন্য প্রাণপন লড়াই এর শপথ নিতে আহ্বান করেন। তিনি ঘোষণা করেন এই লড়াই এর শেষ তিনি দেখে ছাড়বেন তাতে যদি তার মৃত্যুও হয় তাতে তিনি পিছু হটবেন না। যদিও মঞ্চ থেকে বার বার অনুরোধ করা হয় তিনি যেন এই সংগ্রামের স্বার্থে নিজেকে অনশন থেকে বিরত হন। কিন্তু দীপ্ত কণ্ঠে তিনি ঘোষণা করে এই তিনি তার এই মরণপন থেকে এতটুকুও পিছু হঠছেন না।
তিনি বলেন এখন এই দাবীগুলি নিয়ে লড়াই না করলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য খুব খারাপ সময় আসতে চলেছে। তিনি এও দাবী করেন এ রাজ্য আজ সস্তায় কর্মী তৈরী করার ফ্যাক্টরি তে পরিণত হয়েছে। তাই এ রাজ্যের নতুন প্রজন্মের যুবকরা ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অর্থ উপার্জন করার তাগিদে। তাই এর শেষ হওয়া দরকার। তাই শুধুমাত্র ডি.এ নিয়েই তাদের এই আন্দোলন নয়। তাদের এই আন্দোলনটি ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষিত যুবক- যুবতীদের সামাজিক তথা অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊