স্কিল ইন্ডিয়ার উদ্যোগে বিশাল সাফল্য বন্ধনের
বন্ধন (Bandhan) কোন্নগরের অধীনে কার্যকরী ইইউপি (এমপ্লয়িং দা আনএমপ্লয়েড) কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি বছর কয়েক হাজার ছেলেমেয়েকে জীবিকার সন্ধান দেয় বন্ধন। ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (National Skill Development Corporation) অনুমোদিত বন্ধনের এই বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ শাখাগুলিতে চাকরির জন্যে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ শেষে এখান থেকেই বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানির বিভিন্ন পদে এই ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয় প্রতি বছর।
২০১৩ সালে শুরু করে আজ পর্যন্ত ৪৩,৫০০-এরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বন্ধনের এই সামাজিক উন্নয়ন মূলক উদ্যোগ। সেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সফলভাবে চাকুরীক্ষেত্রে নিযুক্ত। প্রথাগত শিক্ষার পরবর্তী পর্যায়ে চাকুরীক্ষেত্রে সাফল্যের জন্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বন্ধনের এই কেন্দ্রগুলি। গ্রামীণ ও মফস্বলের উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক ছাত্রছাত্রীরা এই জাতীয় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের চাকরির উপযুক্ত করে তোলার সুযোগ পায়।
বন্ধন পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম পরিকল্পনা করে এই ধরণের কর্মসূচি নেওয়ার। গড়িয়াতে ২০১৩ সালের পয়লা মার্চ প্রথম বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের কেন্দ্রটি খোলা হয়। আর এখন দেশের মোট ৫টি রাজ্যে এইরকম বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্যে মোট ২৩টি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার আছে বন্ধনের। বিহার, উড়িষ্যা, মধ্যপ্রদেশ, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে বন্ধনের ইইউপি প্রোগ্রাম চলছে।
প্রতিটি লার্নিং সেন্টারে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক বিষয়ের উপর ৩ মাসের কোর্স করানো হয়। সেলস, ক্ষুদ্রঋণ, বিপিও, হসপিটালিটি, কম্পিউটার অ্যাকাউন্টিং, হার্ডওয়্যার নেটওয়ার্কিং, এসি ফ্রিজ রিপেয়ারিং সহ আরো নানা বিষয়ে ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই বিষয়গুলির উপর কাজ করার বা পড়ানোর ব্যবহারিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্নাতক ব্যক্তিকেই কেবল শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। আর ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্ততপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক।
সাধারণত ফিনান্সিয়াললি ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস বা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েদেরই মূলত এইসব প্রশিক্ষণ নেবার সুযোগ দেওয়া হয়। এবং বন্ধন যেহেতু মহিলা ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ ভাবে জোর দেয় তাই প্রতিটি কোর্সেই প্রায় ৪০ শতাংশ মেয়েদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয় । কোনো কোনো ব্র্যান্ড এর নিয়োগকারীরা পুরুষদের সমসংখ্যক মহিলা কর্মী নিয়োগের নিয়মও মেনে চলেন।
বন্ধন কোন্নগরের মুখপাত্র বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে, যখন ঘরে ঘরে রোজগারের মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের সক্ষম করে তোলাই সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতিসাধনের একমাত্র পথ, সেখানে রাজ্যের বেশকিছু যোগ্য ছেলেমেয়েকে জীবিকার পথ দেখাচ্ছে বন্ধনের এই বৃত্তিমূলক কোর্সগুলি। আমরা চাইব, ভবিষ্যতে আরো বেশি সংখ্যক ছেলেমেয়েরা এই প্রশিক্ষণের সুযোগ নিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুক।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊