লাইব্রেরিতে অসংখ্য কর্মী নিয়োগ- পশ্চিম বর্ধমান জেলা পঞ্চম বই মেলার উদ্বোধনে এসে জানালেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী
রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী, আসানসোল: অন্যান্য বছরের মতো এবছরের অনুষ্ঠিত হলো পশ্চিম বর্ধমান জেলার বই মেলা। শনিবার জেলার পঞ্চম বই মেলার শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মলয় ঘটক।
প্রসঙ্গত এবছর এই বই মেলা পঞ্চম বছরে পড়লো। আর এবছর বই মেলায় প্রায় ১১৬ টি বুক স্টল বসেছে। আর আগামী ২৬ শে নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বই মেলা। আর এই প্রসঙ্গেই এদিন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, বাম জমানায় এইরকমটা ছিল না। রাজ্য সরকার অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে গ্রন্থাগার দপ্তরের জন্যেও বাড়িয়েছে বরাদ্দ।
পাশাপাশি তিনি বলেন বাংলায় বই প্রেমী মানুষের সংখ্যা বাড়েছে। রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তর মন্ত্রী মলয় ঘটককে সঙ্গে নিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই জেলা বইমেলর শুভ উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি, আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তী, জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ডঃ অভিজিৎ শেভালে। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দুই বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও হরেরাম সিং।
আর এপ্রসঙ্গে গ্রন্থাগার মন্ত্রী আরো বলেন, একজন মানুষ যেমন রক্ত ও জল ছাড়া বাঁচতে পারেনা। তেমন বই ছাড়া মানুষ বাঁচবে না। আর বাঙালি তো বই পাগল। গুগল দিয়ে কি রাজ্য সরকার বা কেন্দ্র সরকার কে চলবে? কেউ চলবে না। ডিজিট্যাল ব্যবস্থা এলেও, খাতা-কলম কিন্তু চাই। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরিতে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজারের মতো বই ছিলো। কিন্তু সাড়ে ৩৮ হাজারের মতো বই আমফানের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগে নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, বইমেলার জন্য ৬ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। আগে বইমেলায় স্টল নিতে ৭/৮ হাজার টাকা করে লাগতো। এখন সরকার সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। বিনা পয়সায় কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন ৩৫ হাজার দুষ্প্রাপ্য বইকে আমরা ডিজিটাল করেছি। তথ্য আছে এমন আরো বই যদি, থাকে যা মানুষকে সমৃদ্ধ করবে, সেগুলোকেও ডিজিটাল ব্যবস্থায় আনা হবে। এই জেলায় মোট ৬১ টি গ্রন্থাগার আছে। তারমধ্যে অনেক জায়গায় লাইব্রেরিয়ান (Librarian) নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৩৭ টি এই পদে লোক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। ২/৩ মাসেই মধ্যে সেই পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হবে।
রাজ্যের মধ্যে আসানসোলে প্রথম বইমেলা শুরু হলো। কালিম্পংয়ে তা শেষ হবেও বলে এদিন বলেন মন্ত্রী। বই হল বাংলার সংস্কৃতি এবং সম্প্রীতির চরমতম নিদর্শন। বাবা-মার জামা কাপড় কেনার জন্য টাকা দেন। তেমনি ছেলেমেয়েদের হাতে টাকা দিয়ে বলুন বইমেলার গিয়ে বই কিনতে।
আর এ প্রসঙ্গেই রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, এই বইমেলা আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। বইমেলায় ১১০ টি স্টলে বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা তাদের বইয়ের সম্ভার নিয়ে এসেছে। এর আগের পশ্চিম বর্ধমান জেলার বইমেলায় সারা রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার বই বিক্রি হয়েছিলো। আমার আশা, এবারে তার ব্যতিক্রম হবেনা।
এদিনের অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রী আসানসোল শিল্পাঞ্চলের প্রবীন সাংবাদিক ও কবি দেবযানী সিনহার লেখা বইয়ের উদ্বোধনও করেন।
3 মন্তব্যসমূহ
Good news
উত্তরমুছুনGood news 😊
উত্তরমুছুনআদৌ কি নিয়োগ হবে । নাকি এটা কোনো রূপকথার গল্পঃ শোনালো মন্ত্রী মহাশয় ।
উত্তরমুছুনThank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊