সারা ভারত কৃষক আন্দোলনে বাংলার কৃষকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: জয় কিষান আন্দোলন

জয় কিষান আন্দোলন



কলকাতা, ১৭ই নভেম্বর, ২০২১: ১২টি রাজ্যে বিস্তৃত সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠন জয় কিষান আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের ৩টি বৃহৎ জন সমাবেশের আয়োজন করছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে জয় কিষান মহাপঞ্চায়েত (Jai Kisan Mahapanchayat)। প্রথম মহাপঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই ১৬ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি ব্লকে অনুষ্ঠিত হয়েছে, দ্বিতীয়টি ১৭ই নভেম্বর হুগলি জেলার পান্ডুয়া ব্লকে হবে এবং তৃতীয়টি ১৮ই নভেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর-১ ব্লকে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব, যিনি জয় কিষান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, সমস্ত জয় কিষান মহাপঞ্চায়েতে উপস্থিত থাকবেন এবং কৃষকদের সম্বোধিত করবেন৷ উপস্থিত থাকবেন জয় কিষান আন্দোলনের (Jai Kisan Andolan) জাতীয় সভাপতি অভিক সাহা, জাতীয় সহ-সভাপতি দীপক লাম্বা এবং পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি প্রবীর মিশ্র। কেরল, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি দেহাত, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব থেকে আসা জয় কিষান আন্দোলনের নেতৃত্ব মহাপঞ্চায়েতে যোগ দেবেন।

মহাপঞ্চায়েতগুলি পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের সামনে দিল্লির সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের অবস্থা তুলে ধরবে এবং সংগ্রামের আসন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে তাদের অবহিত করবে। এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি যেমন সবজি এবং ফলের মতো স্থানীয় ফসলের জন্য এমএসপি গ্যারান্টির রাজ্য আইনের দাবি এবং বর্তমান সংগ্রহের মরসুমে ধানের জন্য সমস্ত কৃষকের এমএসপি পাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরা হবে।

যোগেন্দ্র যাদব বলেন: দেশে একটি ধারণা আছে যে কৃষক আন্দোলন পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে পড়েনি। এই ধারনাটি দূর করতে জয় কিষান আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গের তিনটি ভিন্ন প্রত্যন্ত স্থানে এই বিশাল সমাবেশের আয়োজন করছে। জয় কিষান আন্দোলন বাংলার কৃষকদের তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার জন্য মোদী সরকারের আনা তিনটি কালো আইন বাতিল করার দাবিতে সর্বভারতীয় আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে এবং রাজ্যের ফসলের জন্য এমএসপি গ্যারান্টির আইনের আন্দোলনে যুক্ত হতে সংগঠিত করছে। বাংলার কৃষকরা সর্বভারতীয় কৃষক আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অভিক সাহা বলেন: স্বাধীনতা আন্দোলনসহ এদেশে ন্যায্য অধিকারের জন্য অনেক আন্দোলনে বাংলার কৃষকেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলার কৃষকরা ভারতের বাকি কৃষকদের মতোই অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। তাই কৃষক আন্দোলন বাংলার প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার এবং এই মহাপঞ্চায়েতের মাধ্যমে জয় কিষান আন্দোলন তাই করছে।

দীপক লাম্বা বলেন: কৃষক আন্দোলন পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় শক্তিশালী এবং আমরা পশ্চিমবঙ্গেও তাকে সমান শক্তিশালী দেখতে চাই। জয় কিষাণ আন্দোলন বাংলায় আন্দোলন গড়ে তুলতে পূর্ণ মনোযোগ ও সর্ব শক্তি প্রয়োগ করবে।

প্রবীর মিশ্র বলেন: জয় কিষান আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গ ইতিমধ্যেই ৮টি জেলার ৫০০ গ্রামে ইউনিট গঠন করেছে এবং রোজ শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই শক্তি এবং কৃষকদের সমর্থনের ভিত্তিতে মহাপঞ্চায়েত সংগঠিত হচ্ছে।

এটা মনে রাখা যেতে পারে যে জয় কিষান আন্দোলন সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি এবং সংযুক্ত কিষান মোর্চার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ২০১৫ সাল থেকে কৃষকদের জন্য অসংখ্য যাত্রা, সমাবেশ, বিক্ষোভ এবং অন্যান্য মাঠের লড়াই লোড়ে চলেছে।