সমাজের তথাকথিত রীতি ভেঙে এগিয়ে চলা ১০ জন অসামান্য মহিলাকে সম্মানিত করলো সানরাইজ  

sunrise


কলকাতায় ঐতিহাসিক নজির স্থাপন সানরাইজ ৬৬ পল্লীর; ৪ মহিলা পুরোহিতের দেবীবন্দনায় নারী শক্তির উদযাপন দেখল বিশ্ব


এই ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গেই ব্র্যান্ড সমাজের ১০ জন অসামান্য মহিলাকে সম্মানিত করে যাঁরা সমাজের তথাকথিত রীতি ভেঙে এগিয়ে চলার অঙ্গীকার নিয়েছে।

কলকাতা, 17 অক্টোবর, 2021: বাংলা তথা বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব, শারোদোৎসব। এই বছর সেই উৎসবেই সমাজকে এক বৈপ্লবিক প়ট পরিবর্তনের ইতিহাসের সাক্ষী রাখল সানরাইজ ৬৬ পল্লী দুর্গোৎসব। এই বছর এখানকার থিম ছিল 'মায়ের হাতে মায়ের আবাহন' অর্থাৎ নারীর হাতেই পুজো হবে দেবী দুর্গার। সেই সঙ্গেই ইতিহাসে এই প্রথমবার বোধন থেকে চণ্ডীপাঠ, আরতি থেকে বিসর্জন, সমস্ত কিছুই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করলেন ৪ মহিলা পুরোহিত।

পুজোয় এমন অভিনবত্ব আগে কখনও দেখেনি মহানগরী। মাতৃ আরাধনার প্রধান দায়িত্বে থাকা প্রথম মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক এবং তাঁর দলের ৩ সদস্যা, রুমা, সীমান্ত, পৌলমি - মুখার্জি এই ৪ জন কলকাতা তথা বাংলার মানুষকে এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সন্ধিক্ষণে দাঁড় করিয়ে দিল যা এর আগে কখনও হয়নি।

এবারের পুজোর আনন্দ উদযাপনকে আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিতে, এবং সর্বোপরি নারীর ক্ষমতায়নের তাৎপর্য ও প্রচারের কথা মাথায় রেখেই ব্র্যান্ডটি ১০ জন অসাধারণ মহিলাকে সম্মানিত করেছে, যাঁরা জীবনে চলার পথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। রাসবিহারি অ্যাভিনিউয়ের সানরাইজ ৬৬ পল্লীতে মহাষষ্ঠীর দিন আয়োজিত একটি অন-গ্রাউন্ড সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই ১০ অসাধারণ নারীদের বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়া হয়। তাঁদের প্রত্যেককে সংবর্ধনা জানান খ্যাতনামা শিল্পী অম্বরিশ ভট্টাচার্য এবং অপরাজিতা আঢ্য। প্রথমবার এই উদযাপনে সংবর্ধিত ১০ নারীর তালিকা নীচে দেওয়া হল, যাঁরা সমাজে নিজের স্ব স্ব ক্ষেত্রে পার্থক্য গড়ে তুলতে পেরেছেন।

· নন্দিনী ভৌমিক - ভারতের প্রথম হিন্দু মহিলা পুরোহিত যিনি দেবী দুর্গার আরাধনা করলেন।

· চায়না পাল - কুমোরটুলির প্রথম মহিলা কুমোরদের মধ্যে অন্যতম সেরা।

· রূপা চৌধুরি - কলকাতার প্রথম মহিলা যিনি ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সুইগির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ডেলিভারি গার্ল হিসেবে এবং ওলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বাইক-ট্যাক্সি চালক হিসেবে।

· মানসী মৃধা - কলকাতার প্রথম 'শুধুমাত্র মহিলাদের' গোলাপি ক্যাব চালক

· উমা দাস - ভারতের প্রথম মহিলা ঢাকিদের মধ্যে অন্যতম সেরা।

· সৌমিতা রায় - ইস্টার্ন রেলওয়ের প্রথম লোকো পাইলট।

· তানিয়া সান্যাল - ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) দ্বারা নিয়োজিত ভারতের প্রথম মহিলা দমকলকর্মী।

· প্রতিমা পোদ্দার - কলকাতার প্রথম মহিলা বাস চালকদের মধ্যে অন্যতম।

· তন্দ্রা সাধুখাঁ - কলকাতার প্রথম মহিলা অটোচালকদের মধ্যে অন্যতম।

· মৌটুসি বিবির - প্রথম মহিলা পেট্রোল পাম্প পরিচারকদের মধ্যে অন্যতম।



“স্বপ্নকে সত্যি করো” — এই চিন্তাধারাকে জীবন্ত করতেই, আইটিসি সানরাইজ পিওর আরও একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। যার নাম 'আজকের অন্নপূর্ণা'। যে সমস্ত মহিলারা রন্ধন জগতে নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে চাইছেন বা ফুড বিজনেস শুরু করতে আগ্রহী, তাঁদের স্বপ্নকে বাস্তবের রূপ দিতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বহু স্তরের এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্যই হল রান্নায় উৎসাহী কলকাতার তথা বাংলার মহিলাদের অনুপ্রাণিত করা, তাঁদের সমর্থন করা এবং তাঁদের তা অর্জনের মাধ্যমে স্বপ্নের বাস্তবায়নে সহায়তা করা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর, রবিবার। ১৮ উর্ধ্ব এবং পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যে কোনও মহিলাই এতে অংশ নিতে পারবেন। কম বয়সী মহিলারাও অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, অনুগ্রহ করে ব্র্যান্ডের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিকে ফলো করুন - https://www.instagram.com/sunrisepure/ এবং https://www.facebook.com/sunrisepure/

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পীযুষ মিশ্র, আইটিসি লিমিটেডের সানরাইজ ফুডসের বিজনেস হেড জানান, “এই উদ্যোগটি আমাদের বৃহত্তর ক্যাম্পেইন 'স্বপ্নকে সত্যি করো'—র অংশ। যার লক্ষ্য হল নারীদের সমর্থন করা এবং সত্যিকারের চেতনায় সমস্ত লিঙ্গের সাম্যতার উদযাপন করা। ইতিহাস সৃষ্টির এবং সানরাইজ ৬৬ পল্লী পুজোর মাতৃ আরাধনার দায়িত্বে মহিলা পুরোহিতদের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মহিলাদের স্বীকৃতির সাক্ষী থাকা — এই সমস্তটাই আসলে এক নতুন সৃচনার ইঙ্গিত। এবং আমরা এই ধরনের উদ্যোগকে সব সময় সমর্থন করার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।”