মোটা হয়ে যাচ্ছেন, কিছুতেই কমছে না মেদ! জেনে নিন সহজ উপায়

টোকিও ২০২০ অলিম্পিকে পুরুষদের ১,৫০০ মিটার দৌড়ে সোনা জেতা জ্যাকব ইনজেব্রিগসটেনের মতো অভিজাত ক্রীড়াবিদ - প্রতি সপ্তাহে প্রায় দশ থেকে ১৪ বার প্রশিক্ষণ নেন, ট্র্যাক এবং জিমে বেশ ঘন্টা সময় কাটান।
তবে আপনার কতবার প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত তা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে - যেমন আপনার প্রশিক্ষণের লক্ষ্য, আপনার ব্যায়ামের তীব্রতা এবং আপনার যে কোনও আঘাতের ইতিহাস। আপনি যে ধরনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাতে কতটুকু ব্যায়াম করতে হবে তাও নির্ধারণ করতে পারে।
ব্যায়াম আমাদের শরীরের বিভিন্ন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে। উদাহরণস্বরূপ, যখন প্রতিরোধের প্রশিক্ষণ (যেমন ওজন উত্তোলন) আমাদের পেশীবহুল শক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করে, তখন এটি আমাদের হৃদযন্ত্রের ফিটনেস উন্নত করার সম্ভাবনা কম কারণ এটি আমাদের হৃদযন্ত্রের চেয়ে আমাদের কঙ্কালের পেশীতে বেশি চাপ দেয়।
আমাদের শরীরকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে - কিন্তু খুব বেশি সময় নয় - প্রশিক্ষণ সেশনের মধ্যে পুনরুদ্ধার এবং "অভিযোজিত" হওয়ার মধ্যে যতটুকু প্রয়োজন।
সংক্ষেপে, ফিটনেস উন্নত করার চাবিকাঠি হল ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণ, যার অর্থ ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত সুস্থতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।
পেটে চর্বি জমা বা ভুঁড়ি বাড়ার সমস্যা নিয়ে বিব্রত অনেকেই। শুধু তা-ই নয়, পেটে চর্বি জমা সরাসরি হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলন ক্যানসার ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। শরীরের মধ্যভাগে চর্বি বেশি থাকলে বলা হয় ‘আপেল’ শেপের বডি, যা অতিরিক্ত বিএমআইয়ের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। এমনকি এই মেদ আপনার Sex Life কেও আনন্দহীন করে দিতে পারে।
পেটের চর্বি বা ভুঁড়ি কমানোর জন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি ব্যায়ামও দরকার। আসুন জেনে নিই কীভাবে এটা কমানো যায়।
পেটের স্ট্রেচিং: চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত সোজা করে মাথার পেছনে নিয়ে যান টানটান করে। একই সঙ্গে পায়ের পাতা টানটান করে মেঝে ছুঁতে চেষ্টা করুন। পেটের পেশিতে টান অনুভব করবেন এতে। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট থাকবেন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
৯০ ডিগ্রি পা: ম্যাটের ওপর চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন, হাতের তালু ম্যাটের ওপর থাকবে। এবার পা দুটো জোড়া করে নব্বই ডিগ্রি ওপরে উঠিয়ে দিন। ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। পা সোজা রেখে হাঁটু ভাঁজ না করে নামিয়ে আনুন। ১০ থেকে ২০ বার করুন।
ক্রাঞ্চ (crunch steps): মাদুর বা ম্যাটে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছে আনতে চেষ্টা করুন। একই সঙ্গে মাথার পেছনে হাত দিয়ে শরীরটাকে উঠিয়ে হাঁটুর কাছাকাছি নিয়ে যান। হাঁটু মাথা একসঙ্গে আনার সময় শ্বাস নেবেন, আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার সময় শ্বাস ছেড়ে দেবেন। দিনে দুবেলা ১০ থেকে ২০ বার করুন।
ফ্লাটার কিক: ম্যাটে চিত হয়ে শুয়ে হাত দুটো হিপের নিচে রাখুন। এবার মাথা, কাঁধ ও পা ম্যাট থেকে ধীরে ধীরে ওপরের দিকে ওঠান। এই অবস্থায় দ্রুত পা দুটো ওঠানামা করুন। ৫ থেকে ১০ বার।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊