অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যা নেই তবু হয়েছে  অপারেশন, কোচবিহারের নামকরা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ 

শুভম হসপিটাল




পেশায় টোটো চালক আশীনাথ বর্মন, বয়স 45 বছর, বাড়ি শীতলখুচি ব্লকের অন্তর্গত পূর্ব শীতলকুচি বানিয়া টারি এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে পেটের যন্ত্রনায় ভুগছিলেন তিনি ‌। একদিন সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে কোচবিহারের বেসরকারি নার্সিংহোম শুভমে গিয়ে ভর্তি হন তিনি।

ভর্তি হবার পর তার সমস্ত রকম টেস্ট করানো হয়। টেস্ট করানোর পর তাকে অ্যাপেন্ডিক্স হয়েছে বলে অপারেশন করার কথা বলেন বলে জানিয়েছেন আশীনাথ। আর এও বলেন নার্সিংহোম থেকে জানানো হয়- যদি খুব তাড়াতাড়ি তার অপারেশন না হয় , তাহলে যদি সেটি ফেটে যায় তাহলে তাকে বাচাঁনো যাবে না।

শুভম



এই কথা শুনে ভয় পেয়ে যায় পরিবার। এমনিতে হাতে টাকা নেই ,সেই মুহূর্তে তারা টাকা সংগ্রহের জন্য জমি টোটো থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু বিক্রয় ও বন্ধক রেখে নার্সিংহোমে পৌঁছায় ,পরের দিন তাঁকে অপারেশন করানো হয়।

অপারেশন করানোর ১ মাস কেটে গেলেও তার সমস্যা যা ছিল তাই থেকে যাওয়ায় সন্দেহ দানা বাঁধে। নিরুপায় হয়ে তিনি শিলিগুড়িতে এক ডাক্তারের দ্বারস্থ হন, শিলিগুড়ির ডাক্তার তার সমস্ত প্রেসক্রিপশন দেখেন। আশীনাথ বাবু জানিয়েছেন- শিলিগুড়ির ডাক্তার তাঁকে বলেন তার আদৌ অ্যাপেন্ডিক্স হয়নি, এবং কোচবিহারের শুভম নার্সিং হোমের রিপোর্টেও সেরকম কোনো ইঙ্গিত নেই।

subham



এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রোগী ভীষণভাবে অসুস্থ, অর্থের অভাবে বাড়িতে পরে থেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, এই বিষয়ে তাঁরা আইনানুগ ব্যবস্থার ক্ষয় খরচ যোগানোয় অক্ষম বলে তারা বিডিও এর দ্বারস্থ হয়েছেন এর সুবিচার চেয়ে। যদিও বিডিওর সঙ্গে দেখা হয়নী ওই পরিবারের।

এই বিষয়ে শীতল কুচি বিডিও সোফিয়া আব্বাস কে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই মুহূর্তে বিষয়টি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। অপরদিকে শুভম নার্সিংহোমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছেন-'এখনো পর্যন্ত এমন বিষয় নিয়ে কেউ আমাদের সাথে কথা বলেনি বা যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে অবশ্যই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো । "