প্রধানমন্ত্রী মোদী, অন্যান্য নেতাদের অবশ্যই আফগানিস্তান সঙ্কটের দিকে নজর দিতে হবে: সীমান্ত গান্ধীর প্রপৌত্রী

Frontier Gandhi's great-granddaughter





'সীমান্ত গান্ধী' খান আব্দুল গাফফার খানের নাতনি ইয়াসমিন নিগার খান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বৈশ্বিক রাষ্ট্র প্রধানদের আফগানিস্তানে চলমান সংকটের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইয়াসমিন নিগার খান মধ্য কলকাতায় বাসিন্দা, তিনি অল ইন্ডিয়া পাখতুন জিরগা-ই-হিন্দ (All India Pakhtoon Jirga-e-Hind) সংস্থাটি পরিচালনা করেন। ইয়াসমিন বলেছিলেন যে তিনি ভারতজুড়ে পাখতুনদের কাছ থেকে কল পাচ্ছেন, তালেবানদের দেশে ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে তাদের আত্মীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশ মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ করার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

সোমবার যখন হাজার হাজার আফগানরা কাবুল বিমানবন্দরে দেশ থেকে বেরিয়ে চেষ্টা করেছিল সেই দৃশ্য বিশ্ববাসীর চোখে যেমন জল এনে দিয়েছে তেমনি চোখে জল এনেছে ইয়াসমিন নিগার খানেরও ।

ইয়াসমিন নিগার খান বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, আসামে প্রায় ৫ লাখ পাখতুন এবং অন্যান্য রাজ্যে কিছু আছে। "অনেকেই প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রজন্মের। যারা ভারতে জন্মেছেন তাদের অনেকেরই সেখানে (আফগানিস্তানে) আত্মীয় আছে। তারা মিডিয়ার সামনে আসতে চায় না। যদি তালেবান তাদের দেখেন, তাদের আত্মীয়রা তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।"

আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভূমিকা প্রসঙ্গে ইয়াসমিন নিগার খান বলেন, আফগানরা চায় না "বহিরাগতরা" হস্তক্ষেপ করুক। "পাকিস্তানিরা বহিরাগত। তালেবানরা পাকিস্তানের মাদ্রাসা থেকে এসেছে এবং তারা আফগানিস্তান পছন্দ করে না। সবাই জানে তালেবানরা দেশ থেকে নয় এবং দেশের 10 শতাংশ, যারা তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, তারা রূপান্তরিত হয়েছে তালেবানে।"

তালেবান যোদ্ধাদের সাথে অল্পবয়সী মেয়েদের এবং মহিলাদের জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হচ্ছে-এই বিষয়ে ইয়াসমিন নিগার খান বলেন, "কোন জোর করা যাবে না। ইসলামের মতো অনুমতি নিয়ে বিয়ে করা উচিত, কিন্তু আপনি কীভাবে তাদের বাবা -মায়ের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করতে পারেন? এটা আমার পছন্দ নয়। "

ইয়াসমিন নিগার খানের ভাই দানিশ বলেন, "গত ৪০-৫০ বছর ধরে আফগানিস্তান যুদ্ধ অবস্থায় আছে। সেখানকার মানুষ যুদ্ধ চায় না, তাদের আওয়াজ শুনতে হবে। যুদ্ধের চেয়ে শিক্ষার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং কিভাবে দেশ পরিচালনা করা যায় এবং জনকেন্দ্রিক হওয়া যায় সেদিকে দেখা উচিৎ।"