গতকাল কোচবিহার জেলার সকল এসডিও, এসডিপিও, বিডিও এবং আইসিদের একটু গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয় কোভিড বিষয়ে।
সম্প্রতি আসাম ও বাংলাদেশের প্রতিবেশি রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ যেহেতু বাড়ছে, তাই পুলিশ ও প্রশাসন এই বিষয়ে অগ্রিম সতর্কতা নিতে এদিনের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গিয়েছে।
কোচবিহার জেলা শাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- কোভিড-১৯ এর তৃতীয় তরঙ্গ আসার আগেই কঠোর সতর্ক থাকতে হবে, যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে । এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাজার, হাট ইত্যাদি স্থানে নিয়মিত পরিদর্শন করতে এবং সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা এসব মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে।
প্রসঙ্গত দিনহাটা বিডিওর পক্ষ থেকে একটা সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে, যা ইতিমধ্যে স্যোসাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে। সেই বার্তায় বলা হয়েছে-
"বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত ইতিমধ্যেই করােনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত । আসাম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে এবং সেইজন্য রাজ্যগুলিতে এখনাে লকডাউন চলছে। আমাদের পাশের জেলা জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিংয়েও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আগামী ২-৩ মাস অবস্থা আরাে খারাপ হতে পারে যদি আমরা এখনাে কোভিড বিধি পালনে সচেতন না হই।
এমতাবস্থায় সকল নাগরিকদের প্রতি বিনীত আবেদন একমাত্র জরুরী প্রয়ােজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরােবেন না। রাস্তার মােড়ে, পাড়ার মাঠে, দোকানে আডডা দেওয়া বন্ধ করুন।
বাড়ির বাইরে বেরােলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। পারলে ডাবল মাস্ক ব্যবহার করুন । নিয়মিত সাবান জলে হাত ধােন অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। বাজার, দোকান, কাজ যেখানেই যান সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। ভীড় এড়িয়ে চলুন। ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও মাস্ক ব্যবহার সহ সমস্ত কোভিড বিধি মেনে চলুন। করােনা মােকাবিলায় স্থানীয় সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করুন। মনে রাখবেন একজনের অসচেতনতা অন্য অনেকের বিপদের কারণ হতে পারে।
জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হলে অবিলম্বে কাছের হাসপাতালে যােগাযােগ করুন। আসুন আমরা সকলে কোভিড বিধি কঠোরভাবে মেনে চলি এবং সকলে সুস্থ থাকি।
এর অন্যথায় জরিমানা এবং বিপর্যয় মােকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিনহাটা মহকুমা প্রশাসন কর্তৃক জনস্বার্থে প্রচারিত।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊