উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯২, মেয়ের ভালো ফলাফলেও কপালে চিন্তার ভাঁজ পার্শ্বশিক্ষক বাবার


 
dipti paul


রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী:- করোনার জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ রাজ্যের স্কুল। আর সেই স্কুলে না গিয়ে অনলাইনে ক্লাস করে তারপর পরীক্ষা না হয়ে ফল পাওয়া কিন্তু একটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছে। আর সেই চিন্তার অবসান হলো ফল বেরোনোর পর। আর সেই ফল বেরোনোর পর দেখা যায় কুলটির বেলরুই এন জি ইনস্টিটিউসনের ছাত্রী দীপ্তি পালের উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২, ওই স্কুলেরই পার্শ্ব শিক্ষক তপন পালের মেয়ে দীপ্তি পাল। 

এদিকে ৪৯২ নম্বর পেয়ে রাজ্যের অষ্টম ও জেলার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সকলের নজর কাড়লো দীপ্তি পাল। এদিকে শিল্পাঞ্চলে, এই খবর পাওয়ার সাথে সাথে ওই স্কুলে ছুটে আসেন স্কুলের টিচার ইনচার্জ সন্দীপ সরকার ও শিক্ষা পর্ষদের সি আই। এদিন তারা তাকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে আশীর্বাদের পাশাপাশি জানালেন শুভেচ্ছাও। 

এদিন স্কুলের টিচার ইনচার্জ সন্দীপ সরকার জানান এই মাসের ৩০ তারিখে তার চাকরির অবসর তার এই শেষ মুহূর্তে স্কুলের ছাত্রী দীপ্তি এই সাফল্যে তিনি আনন্দিত ও অভিনন্দিত। 

এদিকে দীপ্তির বাবা তপনবাবু জানান তার মেয়ে ছোট থেকেই চেষ্টা ছিল, আর সেই চেষ্টার থেকেই মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্যমিকে ও সাফল্য পেল তার মেয়ে। তবে তিনি যেহেতু একজন পার্শ্ব শিক্ষক সেহেতু তার ক্ষমতা না থাকলেও তার মেয়ের ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে পূরণ করার চেষ্টা করবেন তিনি। 

অপরদিকে দীপ্তি জানালো করোনার জন্য পরীক্ষা দিতে পারলোনা সে। তবে পরীক্ষা হলেও এরকমই ফলেরই আশা করেছিলো সে। পড়াশোনা ছাড়া অন্যান্য সময়ে গল্পের বই পড়ার পছন্দ করত দীপ্তি। সে আরো বলে করোনার সময় ডাক্তারদের সহানুভূতি দেখে তার ডাক্তারী পড়ার ইচ্ছা আরো বেড়ে যায় সেজন্য ডাক্তারি পড়ে ডাক্তার হতে চায় দীপ্তি।