বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাধীন ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ করে নিজের বোর্ডের শক্তি বৃদ্ধি করল Emcure Pharma

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাধীন ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ করে নিজের বোর্ডের শক্তি বৃদ্ধি করল Emcure Pharma





ভারতের অন্যতম অগ্রগণ্য ফার্মা কোম্পানি এমকিওর ফার্মাসিউটকালস তার বোর্ড অফ ডিরেক্টরসে প্রখ্যাত পেশাদার ব্যক্তিদের নিয়োগ করে নিজের নেতৃত্ব জোরদার করার প্রক্রিয়া বজায় রাখল। কোম্পানি সম্প্রতি বিভিন্ন ক্ষেত্রের চারজন স্বাধীন ডিরেক্টরকে নিয়োগ করেছে, যাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিপুল।


এই চারজন হলেন ডঃ শৈলেশ আয়েঙ্গার, শ্রী বিজয় গোখেল, শ্রী হিতেশ জৈন ও ডঃ বিদ্যা ইয়েরভড়েকর। এর আগে এ বছর শ্রী বেরজিস দেশাই এমকিওর বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। ১৯৯৭ সাল থেকে এই কোম্পানিতে স্বাধীন ডিরেক্টরদের মধ্যে থেকে একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে।


এমকিওর ভারতের সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানিগুলোর অন্যতম, যা পৃথিবীর ৭০টার বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই কোম্পানির লক্ষ্য আরও শক্তি বৃদ্ধি। লিডারশিপ টিমে এই নতুন নিয়োগগুলো ভবিষ্যৎ বৃদ্ধির জন্য নিজেদের পারদর্শিতা বাড়ানো এবং কাজকর্ম আরও জোরদার করার প্রতি এমকিওর ফার্মাসিউটিকালসের দায়বদ্ধতার প্রমাণ। আইন, ফার্মা স্পেকট্রাম, নীতির বিকাশ এবং শিক্ষাক্ষেত্র জুড়ে নতুন সদস্যদের সমবেত শক্তি এমকিওরের বৃদ্ধির অতিরিক্ত শক্তি জোগাবে।


এই নিয়োগগুলো সম্বন্ধে শ্রী সতীশ মেহতা, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও, এমকিওর ফার্মাসিউটিকালস বললেন “শিল্পক্ষেত্রের মহীরুহদের আমাদের বোর্ডের অংশ হিসাবে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। নতুন সদস্যদের সমবেত অভিজ্ঞতা এবং নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে তৈরি হওয়া অনেক বড় দৃষ্টিভঙ্গি, দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির জন্য আমাদের স্ট্র্যাটেজিক কাজকর্মকে শক্তিশালী করতে অপরিহার্য ভূমিকা নেবে। সময়টা আমাদের সংগঠনের জন্য দারুণ উত্তেজনাময় এবং বোর্ডের নতুন সদস্যদের নিয়ে নতুন উচ্চতায় ওঠার জন্য আমরা উদগ্রীব।”


নতুন চেয়ারম্যান ও সংযোজিত বোর্ড সদস্যদের সম্বন্ধে:


শ্রী বের্জিস দেশাই, এমকিওরের চেয়ারম্যান অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর, এমকিওর ফার্মাসিউটিকালসের সাথে যুক্ত আছেন তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। ট্রানজ্যাকশনাল অ্যান্ড ডিসপিউট রেজলিউশন আইন নিয়ে ৩৭ বছর ধরে চর্চা করার পর শ্রী দেশাই জাতীয় ল ফার্ম JSA-র ম্যানেজিং পার্টনার হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার অফ ল (প্রথম হয়েছিলেন) শ্রী দেশাই এখন একজন স্বাধীন আইনজীবী, যিনি প্রাইভেন্টে ক্লায়েন্ট প্র্যাকটিস করেন। একদা সাংবাদিক শ্রী দেশাই একজন আংশিক সময়ের লেখক ও কলামনিস্ট।


ডঃ শৈলেশ আয়েঙ্গার, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও ফার্মাসিউটিকালে দীর্ঘ ৩৪ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। সানোফিতে তাঁর সাম্প্রতিকতম কাজে ডঃ আয়েঙ্গার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ টিমের সদস্য এবং ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার কান্ট্রি চেয়ার ছিলেন। ১৮ বছর ধরে তিনি সানোফি গ্রুপের সমস্ত ব্যবসায়িক সম্পদ সামলাতেন, যার মধ্যে ছিল ফার্মাসিউটিকালস, স্পেশ্যালটি কেয়ার, ভ্যাক্সিন, অ্যানিমাল হেলথ ও কনজিউমার হেলথকেয়ার। ২০০২ সালে সানোফিতে যোগ দেওয়ার আগে ডঃ আয়েঙ্গার স্মিথক্লাইন বিচাম ফার্মাসিউটিকালস অ্যান্ড জিএসকে কোম্পানির হয়ে ভারত ও গ্রেট ব্রিটেনে ১৪ বছর ধরে উচ্চ পদের দায়িত্ব সামলেছেন। স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক ও জাতীয় M&A কাজকর্মগুলোকে এক জায়গায় আনতে ডঃ আয়েঙ্গারের মুখ্য ভূমিকা ছিল। সঙ্গে অ্যাপোলো সুগার ক্লিনিকের মত উদ্ভাবনীমূলক পার্টনারশিপ গড়ে তুলতেও তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন। ওই ক্লিনিকের কান্ট্রি চেয়ার হিসাবে তাঁর মেয়াদ দেশের এবং এই অঞ্চলের দীর্ঘতম মেয়াদগুলোর অন্যতম।


শ্রী বিজয় গোখেল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর, ১৯৮১ সাল থেকে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে ছিলেন। তাঁর কূটনৈতিক দায়িত্বগুলোর মধ্যে ছিল হংকং, হ্যানয়, বেজিং ও নিউইয়র্কে পোস্টিং। তিনি বিদেশ মন্ত্রকের সদর দপ্তরে ডেপুটি সেক্রেটারি (ফাইন্যান্স), ডিরেক্টর (চীন ও এশিয়া) এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি (পূর্ব এশিয়া) হিসাবেও কাজ করেছেন। তাঁর ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এমকিওরের ভবিষ্যৎ প্রয়াসগুলোতে একটা অতিরিক্ত মাত্রা যুক্ত করবে।



শ্রী হিতেশ জৈন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর, লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স থেকে ১৯৯৬ সালে পাস করে বেরোন। তিনি পরিণাম ল অ্যাসোশিয়েটসের ম্যানেজিং পার্টনার। তিনি ২৪ বছর ধরে লিটিগেশনের সমস্ত শাখায় ওকালতি করেছেন এবং একাধিক ক্ষেত্রে তাঁর মক্কেল ছিল। তিনি তাঁর মক্কেলদের হয়ে সুপ্রিম কোর্ট, ভারতের বিভিন্ন হাইকোর্ট, জেলা আদালতগুলো (দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং রেন্ট আইন বিষয়ক), ক্রেতা সুরক্ষা আদালত, কম্পিটিশন কমিশন, TDSAT প্রভৃতি জায়গায় মামলা লড়েছেন। তিনি মক্কেলদের আন্তর্জাতিক কর্পোরেট বাণিজ্যিক লেনদেন, ব্যাঙ্কিং ও শ্রম বিষয়ক মামলার পাশাপাশি মার্জার ও অ্যাকুইজিশনের মত একগুচ্ছ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি কোম্পানিগুলোকে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি বাজারে সিকিওরিটিজ ইস্যু ও ডিলিংয়ের ব্যাপারেও পরামর্শ দেন।


ডঃ বিদ্যা ইয়েরভড়েকর, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর, হলেন সিমবায়োসিস সোসাইটির প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর এবং সিমবায়োসিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রো চ্যান্সেলর। তাঁর বহু পুরস্কার এবং কীর্তির মধ্যে আছে ফিকির উচ্চশিক্ষা বিষয়ক কমিটির চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন, ভারত সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তৈরি ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইকুইটি ফাউন্ডেশন (IBEF) ট্রাস্টের সদস্যপদ, একই মন্ত্রকের তৈরি সেন্ট্রাল গভর্নিং কাউন্সিল অফ সার্ভিসেস এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের (SEPC) সদস্যপদ।


ডঃ ইয়েরভড়েকরের মেডিসিনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ল ডিগ্রিও রয়েছে। তাছাড়া তিনি পি এইচ ডি করেছেন ‘ইন্টারনালাইজেশন অফ হায়ার এডুকেশন ইন ইন্ডিয়া’ বিষয়ে।

Post a Comment

thanks