কোন পথে মাধ‍্যমিক-উচ্চ মাধ‍্যমিকের মূল‍্যায়ন?




করোনা সংক্রমণের জেরে দীর্ঘ টানাপোড়নের পর মাধ‍্যমিক ও উচ্চ মাধ‍্যমিক পরীক্ষা বাতিলের ঘোষনা করে রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ‍্যায়। কিভাবে মূল‍্যায়ন সাত দিনের মধ‍্যে জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দোপাধ‍্যায়। এরপর, নবান্নে জানান খুব শীঘ্রই জানানো হবে কোন পথে মূল‍্যায়ন। সময়ে পেরিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের চিন্তা বাড়ছেই। কোন পথে মূল‍্যায়ন হবে তা নিয়েই চিন্তিত।



সূত্রের খবর, মাধ‍্যমিকের মূল‍্যায়নে দুটো তথ‍্যের ভিত্তিতে মূল‍্যায়নের কথা ভাবা হচ্ছে। এক, নবম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল এবং অপরটি দশম শ্রেণির অভ‍্যন্তরীন দশ নম্বর। অন‍্যদিকে উচ্চ মাধ‍্যমিকের ক্ষেত্রে একাদশ শ্রেণির অসম্পূর্ণ পরীক্ষার ফলাফল, মাধ‍্যমিকের ফলাফল এবং কলা বিভাগের ২০ নম্বরের প্রজেক্ট ও বিজ্ঞান বিভাগের ৩০ নম্বরের ব‍্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর। ইতিমধ‍্যে উচ্চ মাধ‍্যমিকে প্রজেক্ট ও ব‍্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর পৌঁছে গেছে বোর্ডের কাছে।



এদিকে পরীক্ষা না হওয়ায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনা অব্যাহত। এক দল মানুষ যখন পরীক্ষা না হওয়ার পক্ষেই সায় দিয়েছে তখন অন্যদিকে অন্যদল পরীক্ষা না নেওয়ায় সরকার ও শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করেই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা বেশি প্রয়োজন তাই পরীক্ষা বাতিলই ঠিক আছে। 



জুন মাসের শুরুতেই পরীক্ষা স্থগিত হয়। এরপর পরীক্ষা হবে বলে জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরীক্ষা নিতেই চলে তোড়জোড়। এদিকে, করোনা সংক্রমণের জেরে বাতিল হয়ে যায় সিবিএসই ও আইসিএস পরীক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রিভিউ মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা ভেবেই বাতিল পরীক্ষা বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই রাজ্য সরকারের তরফে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়। 


এখন সকলেই চেয়ে আছে শিক্ষা দপ্তরের দিকে। কোন পথে মুল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় পর্ষদ ও সংসদ? এখন সেই প্রশ্নের অপেক্ষায় সকলেই।