করোনা সতর্কতায় বন্ধ আইপিএল, ধোনির রাজ্যে রমরমিয়ে চলছে পিপিএল


মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা ভারতবর্ষ। প্রথম সংক্রমণের তুলনায় এটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ছে। করোনার মোকাবিলায় বেশ কিছু রাজ্য আংশিক বা সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হেঁটেছে। করোনা সম্পর্কিত সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে জনপ্রিয় ক্রিকেট লীগ আইপিএল শুরু হলেও বেশ কিছু ক্রিকেটার আক্রান্ত হওয়ায় মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় টুর্নামেন্ট। এদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির রাজ্য ঝাড়খণ্ডে রমরমিয়ে চলছে পিপিএল।


এখানে পিপিএল কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নয়, এটি করোনা আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য শুরু হওয়া প্লাজমা প্রিমিয়ার লীগ। করোনা আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য এই অভিনব উদ্যোগ ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক কুনাল সারঙ্গীর। করোনার জেরে যেখানে সারা ভারতবর্ষে রক্ত এবং প্লাজমার সঙ্কট দেখা দিয়েছে ঠিক তখনই মানুষের জীবন বাঁচাতে শুরু হয়েছে পিপিএল অর্থাৎ "প্লাজমা প্রিমিয়ার লীগ।" তিনি বলেছেন,"আইপিএল থেমে গিয়েছে তো কী হয়েছে। জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ে সবাই এগিয়ে আসুন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। প্লাজমা দান করে করোনা-যোদ্ধা হয়ে উঠুন।" এই প্রতিযোগিতার মূল কথাই হচ্ছে  ''From warrior to saviour''  অর্থাৎ "যোদ্ধা থেকে রক্ষাকর্তা।"


এই অভিনব প্রিমিয়ার লীগে সামনে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের তারকা ক্রিকেটার সৌরভ তিওয়ারি এবং বিরাট সিং। এই দুই ক্রিকেটার ছাড়াও এগিয়ে এসেছেন জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও। পিপিএলে মোট ৯টি দল রয়েছে। যারা হলোঃ প্রেশাস (Precious Plasma Tigers), প্লাজমা টাইগার্স, টেলকো রেড প্যান্থার্স (Telco Red Panthers), ৩এস ডোনার্স (3S Donators), হেল্পিং হ্যান্ডস (Helping Hands), স্টিল সিটি ওয়ারিয়র্স (Steel City Warriors), যুগসলই মাস্ক (Jugsalai Mask), সানরাইজ সুপারস্টার (Sunrise Superstar), জামশেদপুর কিংস (Jamshedpur Kings) এবং রোটারাক্ট ১১ (Rotaract 11)।


প্রতিটি দলে একাধিক প্লাজমা দাতা রয়েছেন। প্লাজমা বা রক্ত দিলেই সেই দলের খাতায় চার বা ছয় রান যোগ হয়। যে প্লাজমা বা রক্ত গ্রহণ করা হচ্ছে তা সরাসরি চলে যায় জামশেদপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে। প্রতি সপ্তাহে যে দল সব থেকে বেশি প্লাজমা দান করতে পারবে, তারাই জয়ী হবে।