বামফ্রন্টের ইস্তেহারে চমক, শিক্ষা থেকে চাকরি, শিল্পেও জোর 



বামফ্রন্ট শনিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহার উন্মোচন করে, রাজ্যে আইনের শাসন পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং জোর দিয়েছিল যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কোনও পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হবে না। এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করেন বিমান বসু। বিমান বসু বলেন, ‘এটি বামফ্রন্টের ইস্তেহার। আগে একটি খসড়া ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছিল। আজ চূড়ান্ত ইস্তাহার প্রকাশ করা হল। পরে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে একটি আবেদনপত্র প্রকাশ করা হবে।’



ইস্তেহার অনুসারে: 


বিনামূল্যে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা।২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিলে ভর্তুকি পাবেন সমস্ত গ্রাহক।


শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ২১ হাজার টাকা।১০০ দিনের বদলে ১৫০ দিনের কাজ ও মজুরির পরিমাণ বাড়ানো হবে।


শিল্পে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। তবে সিঙ্গুর নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করা হয়নি বামেদের ইস্তেহারে। বরং জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বলা হয়েছে,শিল্পের জন্য সহমতের ভিত্তিতে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। অধিগৃহীত জমির জন্য পরিবারগুলিকে লাভজনক মূল্য দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অন্তত একজনকে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।




শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়মিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


জেলায় জেলায় গ্রন্থাগার, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং কর্মী নিয়োগে জোর দেওয়া হবে।


‌ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা আরও ঢেলে সাজানো হবে। 


গরীব মানুষ যাতে সঠিক চিকিৎসা পায় সেই ব্যবস্থাই করা হবে। ঢেলে সাজানো হবে চিকিৎসাক্ষেত্রেও। 


বিপুল কর্মসংস্থানের আশ্বাস, মেধার উপর ভিত্তি করে কর্মসংস্থান। 


কৃষকদের দুর্দশা কাটাতে ফসলের ন্যায্য দাম দেওয়া হবে। আর বৃহৎ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে রাজ্যে ঢেকে আনা হবে।




সিএএ, এনআরসি চালুর বিরোধিতা করে ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এক বছরের মধ্যে সরকারি ও আধা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগের।


বেআইনি চিটফান্ডে গচ্ছিত টাকা ফেরত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।