একদিকে করোনার আতঙ্ক অন্যদিকে শীতের দাপট-সুস্থ থাকতে জেনে নিন তুলসী পাতার (tulsi-holy basil) ব্যবহার
একদিকে করোনার আতঙ্ক অন্যদিকে শীতের দাপট শুরু। ফলে সর্দির সমস্যা তো ঘরে ঘরে। আর সর্দি-কাশি হলেই সন্দেহ শুরু হয়ে যায় করোনা না তো! তবে এবার শীতেও যাতে সর্দির প্রকোপে ভুগতে না হয় তার জন্য একটা ঘরোয়া টোটকা আপনাদের জন্য।
গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই পাওয়া যায় তুলসী গাছ। আপনি কি জানেন কতটা মহাঔষধী এই তুলসী গাছ? তুলসী পাতার ব্যবহার সাধারণ সর্দি থেকে আরও অনেক উপকারে লাগে।
তুলসী গাছের পাতা, বীজ, বাকল ও শেকড় সবকিছুই অতি প্রয়োজনীয়। ঔষধিগুণের এই তুলসী বিভিন্ন রোগ সারাতে কাজ করে।
ফুসফুসের দুর্বলতা, কাশি, কুষ্ঠ, শ্বাসকষ্ট, সর্দিজ্বর, চর্মরোগ, বক্ষবেদনা ও হাঁপানি, হাম, বসন্ত, কৃমি, ঘামাচি, রক্তে চিনির পরিমাণ হ্রাস, কীটের দংশন, কানব্যথা, ব্রংকাইটিস, আমাশয় ও অজীর্ণে তুলসী দিয়ে তৈরি ওষুধ বিশেষভাবে কার্যকর।
এছাড়া মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে মশারি টানানো, অ্যারোসল স্প্রে করা অথবা তীব্র ধোঁয়াযুক্ত কয়েল জ্বালানোর প্রয়োজন পড়বে না- যদি তুলসী থাকে ঘরে।
আসুন জেনে নেই তুলসীর পাতার উপকারিতা-
১. ঠাণ্ডা-কাশি থেকে রক্ষা পেতে তুলসী পাতা ও আদার রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ঠাণ্ডা-কাশি ভালো হবে।
২. সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের রুচি বাড়বে।
৩. তুলসী পাতার রস খেলে দ্রুত জ্বর ভাল হয়।
৪. তুলসী পাতা গরম জলে সেদ্ধ করে সে জলে গাড়গল করলে মুখ ও গলার রোগজীবাণু মরে, শ্লেষ্মা দূর হয় ও মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়।
৫. তুলসী চা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়।
৬. মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী।
৭. চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ওই পানি দিয়ে সকালবেলা চোখ ধুয়ে ফেলুন। বাসার বারান্দায় বা ফুলের টবে অন্তত একটি তুলসী গাছ লাগাতে পারেন।
৮. তুলসী, বেলপাতা এবং নিমপাতা সমপরিমাণে বেঁটে বড়ি বানিয়ে শুকিয়ে নিন। এই বড়ি দিনে ২/৩ বার খেলে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ হয়।
৯. শীতের নানা রোগ থেকে নিরাপদে থাকতে দুই কাপ জলে ১০-১২টি তুলসী পাতা দিয়ে ফুটিয়ে অর্ধেক হয়ে যাওয়ার পর নামিয়ে ছেঁকে নিন৷ চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন।
source: internet
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊