করোনা-মুক্তির পর সুস্থ থাকার পরামর্শ দিয়ে ‘কোভিড -১৯ ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল’ জারি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
জাঁকিয়ে বসেছে করোনা। দিনের পর দিন খারাপ হয়েই চলছে পরিস্থিতি। সংক্রমণের নিরিখে প্রতিদিনের সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলছে উদ্বেগ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখাই একমাত্র লক্ষ্য। করোনা জয় করার পর কী কী করা উচিত, কী খাওয়া উচিত তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রবিবার ‘কোভিড -১৯ ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল’ জারি করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে বাড়িতে থেকেই যারা করোনা থেকে যেথেষ্ট পরিমাণে সুস্থ হয়ে উঠেছে এমন রোগীদের জন্য একটি সার্বিক পদক্ষেপের প্রয়োজন।
এক নজরে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ:
- বাইরে বেরোলেই পড়তে হবে মাস্ক।
- থাকতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
- শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম জল পান করতে হবে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক আয়ুর্বেদ ওষুধের ব্যবহার করতে হবে।
- নিয়মিত ঘরের কাজ করা উচিত।
- পেশাগত কাজ গ্রেড পদ্ধতিতে পুনরায় শুরু করতে হবে।
- হালকা / পরিমিত ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে।
- যোগ অভ্যাস করতে হবে। যোগাসন, প্রাণায়াম ও ধ্যানের দৈনিক অনুশীলন।
- চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা।
- প্রতিদিন সকাল বা সন্ধ্যা স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে হাঁটা।
- ভারসাম্যযুক্ত পুষ্টিকর ডায়েট, সদ্য রান্না হওয়া নরম ডায়েট হজম করার পক্ষে সহজ।
- পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কোভিডের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ সেবন করা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
- বাড়িতেই তাপমাত্রা, রক্তচাপ, রক্তে শর্করা (বিশেষত, ডায়াবেটিস হলে), পালস অক্সিমেট্রি ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা।
- যদি অবিরাম শুকনো কাশি / গলা ব্যথা হয় তবে স্যালাইন গারগল করুন এবং স্টিম ইনহেলেশন নিন। গারগলিং / স্টিম ইনহেলেশনের জন্য ভেষজ সংযোজন করা যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শে কাশির ওষুধ নেওয়া উচিত।
- প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, স্নায়ু দুর্বলতার মতো প্রাথমিক সতর্কতার লক্ষণগুলি বুঝতে চেষ্টা করা।
- গুজব, মিথ ও কুসংস্কার রোধে করোনা জয়ীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা প্রচার করুন।
- শারীরিক দূরত্বের সাবধানতা অবলম্বন করে যোগ, মেডিটেশন ইত্যাদির গ্রুপ সেশনে অংশ নিন।
- সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে প্রথম ফলোআপ ভিজিট ৭ দিনের মধ্যে হওয়া উচিত।
- এছাড়াও নিকটতম এলোপ্যাথিক / আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের কাছেও যাওয়া যেতে পারে।
- পলি-থেরাপি এড়ানো উচিত।
- হোম আইসোলেশনে ছিলেন এমন রোগীরা তারা যদি ক্রমাগত লক্ষণ দেখেন তবে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবেন। অবস্থার অবনতি হলে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সাপোর্টের প্রয়োজনে কিছু ক্ষেত্রে আরও কঠোর ফলোআপের প্রয়োজন হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊