শচীন পালঃ
নিজেদের পটচিত্র দিয়ে সুদৃশ মাস্ক বানিয়ে,তা বিপণণ করে নিজেদের সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটশিল্পীরা। করোনার কারনে লকডাউন ও আমফানের জোড়া ধাক্কায় সঙ্কটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরের "পটের গ্রাম" হিসেবে পরিচিত চন্ডীপুর, হবিচক,নানকারচক এর প্রায় দেড় শতাধিক পটশিল্পী।করোনার জেরে রাজ্য জুড়ে সমস্ত মেলা ও উৎসব বন্ধ।কাজ নেই!বিক্রি নেই! ফলে টান পড়েছে রুজিতে।তাই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে কেউ বাধ্য হয়েছে কোদাল ধরতে,আবার কেউ একশো দিনের কাজ করছেন।সেই সঙ্গে অভাবের সংসার বাঁচাতে,ছেলে-মেয়েদের মুখে খাদ্যের জোগাড়ের জন্য সামান্য রোজকারের আশায় অভিনব মাস্ক তৈরি করে বিক্রি শুরু করছেন আবেদ চিত্রকর, সায়েরা চিত্রকর,রিজিয়া চিত্রকর,আলেকজান্ডার পটিদার প্রমুখরা।
স্থানীয় শ্যামসুন্দরপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুনাংশু প্রধান তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।তিনি জানান, এই সংকটময় পরিস্থিতিতে এদের হাতের তৈরি মাস্ক বিক্রির জন্য সহায়তা নিয়েছি ফেসবুকের।এর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভালোই সাড়া মিলছে।
অর্ডার অনুযায়ী ক্রেতার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অভিনব মাস্ক।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটুয়াদের হাতের তৈরি একটা লৌকিক ঘরানার মাস্ক ছড়িয়েছে পড়ছে চারিদিকে।এই মাস্ক সম্পূর্ণ কাপড়ের তৈরি। এটা ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়িতে সাজিয়ে রাখা যাবে বলে জানাচ্ছেন পটশিল্পীরা।
আবেদ চিত্রকর জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার, মহিষাদল, তমলুক, নন্দীগ্ৰামর পাশাপাশি কলকাতা ও অন্যান্য জায়গা থেকেও অর্ডার আসছে। ফলে এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও রোজকারের দিশা খুঁজে পেয়েছেন জেলার পটশিল্পীরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊