এপ্রিল থেকে অগাস্ট পর্যন্ত কাজ হারিয়েছেন ২ কোটি ১০ লক্ষ কর্মী, বলছে CMIE Report 


About 21 million salaried employees lost their jobs said CMIE


WEBDESK: 

করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ থেকেই কেন্দ্রের নির্দেশে সারা দেশ ব্যাপী জারি হয় কড়া লক ডাউন। দীর্ঘ লক ডাউনের পর ইতিমধ্যে দেশকে সচল করতে আনলকের পথে হেঁটেছে কেন্দ্র। যদিও এখনও কমেনি সংক্রমণ। আনলকের চতুর্থ পর্যায় চললেও একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়ে সংক্রমণের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে করোনা ভাইরাস। এদিকে, লক ডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন অগণিত মানুষ। কর্ম সূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মানুষদের ফিরতে হয়েছে ঘরে। কর্মহীন জীবন যাপন চলছে তাঁদের। আবার কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ২ কোটিরও বেশি বেতনভুক কর্মী। সিএমআইই রিপোর্ট অনুসারে, জুলাইয়ে কাজ হারান প্রায় ৪৮ লক্ষ কর্মী। অগাস্টে কাজ হারিয়েছেন ৩৩ লক্ষ কর্মী। এপ্রিল থেকে অগাস্ট পর্যন্ত কাজ হারিয়েছেন ২ কোটি ১০ লক্ষ কর্মী। 



সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ‘২০১৯-২০ সালে যেখানে ভারতে বেতনভুক কর্মীর সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৬০ লক্ষ তা অগাস্টে কমে হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি। সব ধরনের কর্মীরাই কাজ হারিয়েছেন। জুলাইয়ে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৪০ শতাংশ। অগাস্টে বেকারত্বের হার বেড়ে হয় ৮.৩৫ শতাংশ। জুলাইয়ে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ৯.৩৭ শতাংশ। অগাস্টে সেই হার বেড়ে হয় ৯.৮৩ শতাংশ।' 



পাশাপাশি, সিএমআইই রিপোর্ট অনুসারে 'গ্রামেও বেকারত্বের হার সেই তুলনায় অনেক বেড়েছে। জুলাইয়ে যেখানে গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৫১ শতাংশ, অগাস্টে তা বেড়ে হয় ৭.৬৫ শতাংশ। এপ্রিলে দেশজুড়ে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৪ শতাংশ। অগাস্টে তা বেড়ে হয় ৮.৪ শতাংশ। এই সময়ে কর্মসংস্থানের হার ৩৭.৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩৭.৫ শতাংশ।’


সিএমআইই রিপোর্ট বলছে করোনার জেরে ভারতের বেতনভুক কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে।