৭৯% শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়াশুনার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করেন : বিদ্যাসারথির ‘ইন্ডিয়া লকডাউন লার্নিং’ রিপোর্টে উঠে এলো নানা তথ্য
69% of students use smartphones to study online: India Lockdown Learning Report
- ৫৯% শিক্ষার্থী তাদের অনলাইন ক্লাসের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এবং জুম কল ব্যবহার করছেন এবং ৩০% শিক্ষার্থী তাদের প্রতিষ্ঠানের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন
- ৭৫% শিক্ষার্থীরা এখনও অনলাইন ক্লাসের থেকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ পছন্দ করেন ; সবচেয়ে বড় অন্তরায় দুর্বল নেটওয়ার্ক কানেকশন
বিদ্যাসারথির ‘ইন্ডিয়া লকডাউন লার্নিং’ রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী (৭৯%) অনলাইনে পড়াশোনার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে কেবলমাত্র ১৭% শিক্ষার্থী তাঁদের অনলাইন ক্লাস করার জন্য ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার ব্যবহার করেন এবং ৪% শিক্ষার্থী ট্যাবলেটের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত হন। এন এস ডি এল ই-গভর্নেন্স ( NSDL e-Governance) দ্বারা পরিচালিত বিদ্যাসারথি (Vidyasaarathi) ভারতের অন্যতম স্কলারশীপ ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল।
দেশব্যাপী শিক্ষাব্যবস্থার মূল ইকো -সিস্টেমে যে রূপান্তর ঘটে চলেছে তা বোঝার জন্য বিদ্যাসারথির ‘ইন্ডিয়া লকডাউন লার্নিং’ প্রতিবেদনটি তৈরী করতে দেশের ৪০০ টি শহর জুড়ে ১০,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কীভাবে শিক্ষার্থীরা ই-লার্নিং ব্যবস্থার সাথে মানিয়ে নিচ্ছেন এবং এই পরিবর্তনের রাস্তায় তাঁরা যেসকল বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন তা জানতে এই সমীক্ষাটি সহায়তা করবে। এই "নিউ নর্মাল " এর ভালো ও খারাপ দুইদিকই সামগ্রিক ভাবে বিবেচনা করার জন্য সমীক্ষাটিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সর্বাত্মক ভাবে সংগৃহিত হয়েছে ।
ভারতে ই-লার্নিংয়ের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ও সেই সংক্রান্ত তথ্যর সাথে এই প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে যে অনলাইনে ক্লাস করার জন্য ৫৯% শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে পছন্দের মাধ্যম হয়ে উঠেছে হোয়াটসঅ্যাপ এবং জুম কল এবং ৩০% শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্কুলের বা কলেজের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে।.
যদিও অনলাইন ক্লাস হলো "নিউ নর্মাল" এরই অংশ, তবুও ৭৫% শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের চেয়ে এখনো বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ বেশি পছন্দ করেন। ৫৭% শিক্ষার্থীরা ই-লার্নিংয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের বৃহত্তম বাধা হিসাবে দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগকে দায়ী করেছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩১% শিক্ষার্থী মনে করেন অনলাইনে ফোকাস করা কঠিন এবং ১২% শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পড়াশোনার সময় জিজ্ঞাসার উত্তর স্পষ্টভাবে পেতে অসুবিধে হচ্ছে।
ভালো দিকটি হলো , ৬০% এরও বেশি শিক্ষার্থী ই-লার্নিংয়ের জন্য প্রায় ১-৪ ঘন্টা ব্যয় করে; ৩১% শিক্ষার্থী ব্যয় করেন ৪-৮ ঘন্টা এবং ৮% শিক্ষার্থী ৮-১২ঘন্টা অনলাইনে পড়াশোনার জন্য ব্যয় করে। এটি দেখায় যে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ এবং অনলাইন শিক্ষার প্রতি শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি বদ্ধতা কতখানি।
অনলাইনে ক্লাস করছেন এমন মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬২% তাদের পাঠ্যক্রমের জন্য এবং ৩৮% অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপের জন্য অনলাইন ক্লাস ব্যবহার করছেন। যাঁরা অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপের জন্য অনলাইন ক্লাস করছেন তাঁদের মধ্যে ৩৯% শিক্ষার্থী আর্ট এবং ক্রাফ্টের উপর অনলাইন কোর্স করছেন। এইগুলি চিরকালীন শিক্ষাপদ্ধতিতে একটি পরিবর্তন সূচিত করছে ।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ১২ থেকে ২৮ বছর বয়সী এবং এদের মধ্যে ৬২% পুরুষ ছিলেন। উত্তরদাতারা আন্ডারগ্রাজুয়েট এবং স্নাতকোত্তর কোর্সে করছেন। তাঁরা মধ্যবিত্ত পরিবারের এবং এদের মধ্যে প্রায় ৯০% শিক্ষার্থীর পরিবারের বার্ষিক আয় ৭ লক্ষের কম।
শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের সুবিধা সম্পর্কেও ভালভাবে অবগত। তাদের বেশিরভাগই উল্লেখ করেছেন যে ই-লার্নিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো যে কোনও সময়েই কোর্সের পড়ার বিষয়বস্তুর উপলব্ধতা । শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শিক্ষার জন্য আগ্রহী হওয়ার পেছনে প্রেরণা হিসেবে এর ব্যবহারিক স্বাচ্ছন্দ্য এবং সহজেই জিজ্ঞাসার উত্তর ব্যাখ্যা স্পষ্টভাবে পাওয়ার দিকটিও তুলে ধরেছেন ।
ভারতীয় শিক্ষার্থীরা এই ই-লার্নিং সংস্কৃতিতে নতুন। এই মহামারীর সময় অনলাইন ক্লাস শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই সমীক্ষাটি ভাল আইটি পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয়তা পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরেছে, যাতে করে ডিজিটাল পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হ্রাস পায় ।
বিদ্যাসারথী হ'ল এনএসডিএল ই-গভর্নেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার এর তৈরী তিনটি এডুকেশন ফিনান্সিং পোর্টালের মধ্যে একটি যা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা সম্বন্ধিত আর্থিক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, যেমন - বিদ্যাসারথি (শিক্ষাবৃত্তি), বিদ্যালক্ষ্মী ( শিক্ষাঋণ ) এবং বিদ্যাকৌশল (দক্ষতা উন্নয়ন ঋণ)।
About Vidyasaarathi:
Vidyasaarathi is a scholarship portal developed by NSDL e-Governance Infrastructure Ltd., which bridges the gap between students seeking financial assistance and companies with CSR funds wanting to contribute to the education space. Corporates can choose to create their own schemes and criteria to give scholarships to the deserving students. The schemes are designed in association with Tata Institute of Social Sciences. So far, over 30 corporates have associated with Vidyasaarathi to design and provide scholarship schemes to students, the portal is becoming popular amongst students. The portal has successfully provided scholarships to over 6500 students.
Visit https://www.vidyasaarathi.co.in/ and www.egov-nsdl.co.in for more information.
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊