করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ নিতে অস্বীকার পরিবারের, সৎকার শামুকতলা পুলিশ প্রশাসনের



শুভাশিস দেবনাথ, আলিপুরদুয়ারঃ  আলিপুরদুয়ার জেলার ২ নম্বর ব্লকের শামুকতলায় এক বনদফতরের কর্মীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু  নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা শামুকতলা এলাকায়। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শক্তিনগর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন এবং উনার পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাতে তাকে শামুকতলা হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসকরা তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা রাতেই তার লালা রস সংগ্রহ করে। লালা সংগ্রহের কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং পরবর্তীতে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শামুকতলা এলাকায়। 


শুক্রবার সরকারি নিয়ম মেনে তার মৃতদেহ পরিবারের হাতে দিতে গেলে পরিবারের লোক তার মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন । পরবর্তীতে মৃতদেহের দায়িত্ব নেন শামুকতলা থানার পুলিশ এবং শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পবন রাই লালপুলে মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে দেন। পরিবারের লোকেরা মৃতদেহের দেখতেও আসেননি। শামুকতলা থানার ওসি বিরাজ মুখার্জী থানার বাকি পুলিশ কর্মীদের নিয়ে মৃতদেহ সৎকার করেন । রাতে সৎকারের সময় স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান, তৎক্ষণাৎ ওসি বিরাজ মুখার্জি উনাদের বুঝিয়ে সুস্থ ভাবে মৃতদেহ সৎকার করেন। 



সৎকারের পরেরদিন অর্থাৎ শনিবার সকালে ১০ টা নাগাদ স্থানীয়রা শামুকতলা-হাতিপোতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রধান পবন রাই, ওসি বিরাজ মুখার্জি, ডিআইবি প্রবীণ প্রধান। শামুকতলার থানার ওসি বিরাজ মুখার্জি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সম্পূর্ণ এলাকা স্যানিটাইজ করলে বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয়রা। যদিও মৃতের পরিবারের অস্বীকারের পরও দেহ সৎকারে শামুকতলা থানার উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন শামুকতলা এলাকার মানুষজন।