প্রাক স্বাধীনতা পর্বে শুরু হওয়া লতিবপুরের দূর্গা পূজার শুভ সূচনা হলো খুঁটি পূজার মধ্যদিয়ে
অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়াঃ
১৯৪৬ সালে পরাধীন ভারতবর্ষে সূচনা হয় লতিবপুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব এর। সেইসময় গ্রামের নাম ছিলো নতিবপুর। আশেপাশের পাঁচটি পাড়া মিলিয়ে এটি ছিলো একমাত্র দুর্গোৎসব। এখনো পর্যন্ত উলুবেড়িয়া অঞ্চলের সাবেক পূজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই দুর্গোৎসব।
স্বর্গীয় হেমচন্দ্র বসুর বাস্তুভিটায় এই পূজোর সূচনা হয় স্বর্গীয় জগবন্ধু সরকার, স্বর্গীয় বিজন ঘোষ প্রমূখের হাত ধরে। কালক্রমে স্থান পরিবর্তন হতে হতে গত চৌত্রিশ বছর ধরে লতিবপুর ব্রাহ্মণপাড়ার মাঠে এই পূজো অনুষ্ঠিত হয়। স্বর্গীয় হেমচন্দ্র বসুর পৌত্র বর্ষীয়ান নাট্যাভিনেতা শ্রী শশাঙ্কশেখর বসু বর্তমানে এই পূজোর সভাপতি।
বর্ষীয়ান চিকিৎসক শ্রী বিশ্বনাথ সেন এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ডাঃসুবীর সেন বর্তমান পূজো কমিটির সম্পাদক। এছাড়াও লালুভূষণ মান্না, মানবেন্দ্র দলুই, তমাল দলুই, জগন্নাথ ভট্টাচার্য, নিখিল ভট্টাচার্য, সৌভিক ভট্টাচার্য, সুরজিৎ ভট্টাচার্য,সুরজিৎ ঘোষ, রঞ্জন বেরা, অপু বেরা, সুমন বসু প্রমূখ এই দুর্গোৎসব পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। গ্রামের মহিলারা পুজো পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেন। শ্রাবণী দলুই, সুপর্না বসু,দেবস্মিতা ভট্টাচার্য,মিঠু বেরা, সীমা বেরা, রূপা বেরা, রিমি বেরা, পম্পা বেরা, নন্দিতা মান্না, পিয়ালী বসু প্রমূখ মহিলা সদস্যদের মধ্যে অগ্রগণ্য।
সকলের উৎসাহ এবং আন্তরিক যোগদানের ফলশ্রুতি হিসাবে বর্তমান করোনা আবহের মধ্যেও এই সুপ্রাচীন পূজোর পঁচাত্তর তম বর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। আজ এই দুর্গোৎসব এর খুঁটি পূজো সম্পন্ন হল। করোনা আতঙ্ক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও প্রায় দেড়শো মানুষ উপস্থিত ছিলেন পূজো প্রাঙ্গণে। পূজো প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত বিধিনিষেধ সতর্কতার সাথে পালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার কাউন্সিলর রবিয়াল হক মোল্লা মহাশয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী মাননীয় শ্রী গৌতম বসু মহাশয়। উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়ার সাংস্কৃতিক জগতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব মাননীয় শ্রী পবিত্র সান্যাল মহাশয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊