সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান ঃ 

প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল। সাফল্যের নিরিখে শীর্ষে ফের পূর্ব মেদিনীপুর। তৃতীয় স্থানে কলকাতা। বেড়েছে মেয়েদের সাফল্যের হার। মেধাতালিকায় জেলার জয়জয়কার। প্রথম, দ্বিতীয় দুজনেই পূর্ব বর্ধমানের। সাফল্যের হার সর্বাধিক পূর্ব মেদিনীপুরে। এই জেলায় সাফল্যের হার ৯৬.৫৯ শতাংশ। তার পরে স্থান পশ্চিম মেদিনীপুর ও কলকাতার। তার পরে স্থান দুই ২৪ পরগনার। কলকাতায় পাসের হার ৯১.০৭ শতাংশ। পশ্চিম মেদিনীপুরে পাসের হার ৯২.১৬ শতাংশ।এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৬। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা ১২.৭২ শতাংশ বেশি। ছেলেদের চেয়ে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৭০ জন বেশি মেয়ে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল।

গোটা রাজ্যের মধ্যে যখন দুই মেদিনীপুর সহ কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলির মাধ্যমিকের সাফল্যের হার রীতিমত সাড়া জাগিয়েছে, সেই সময় গোটা রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার নাম উজ্জ্বল করল মেমারীর অরিত্র পাল। রীতিমত অন্য জেলাকে টক্কর দিয়ে ফের সেরার সেরা মুকুট ছিনিয়ে নিল পূর্ব বর্ধমান জেলার ছাত্র অরিত্র। 

মেমারী বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির স্কুলের ইউনিট-১এর ছাত্র অরিত্র ৭০০-র মধ্যে পেয়েছে ৬৯৪। বিষয়ভিত্তিক তার প্রাপ্ত নাম্বার অংক, ইতিহাস এবং ভূগোলে ১০০, বাংলা ও পদার্থবিদ্যায় ৯৮ এবং ইংরাজী ও জীবনবিজ্ঞানে তার প্রাপ্ত নাম্বার ৯৯। 

ভৌতবিজ্ঞান, জীবনবিজ্ঞান, অংক এবং ইংরাজীতে তার গৃহশিক্ষক ছিল। পাশাপাশি সে কোচিংও নিত। বাকি বিষয়গুলি ছোটবেলা থেকেই মায়ের কাছেই সে পড়াশোনা করেছে। অরিত্র জানিয়েছেন, তার সবথেকে প্রিয় ছবি আঁকা। খেলাধূলা ভালবাসলেও সময়াভাবে সে খেলতে পারে না। 

অরিত্রের বাবা গণেশচন্দ্র পাল প্রাক্তন সমরকর্মী। বর্তমানে তিনি পানাগড়ে সেনাবাহিনীর সিভিল আর্মিতে কর্মরত। মা চন্দনা পাল প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা। গোটা রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করার পর অরিত্র জানিয়েছেন, কষ্ট করলে সাফল্য আসবেই। 

গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে। অরিত্র জানিয়েছে, সে আশা করেছিল ৬৮৫ থেকে ৬৯৪-এর মধ্যেই তার প্রাপ্ত নম্বর থাকবে। শুধু তাইই নয়, সে আশা করেছিল রাজ্যের মেধা তালিকায় সে ১ থেকে ১০-এর মধ্যে থাকবেই। স্বাভাবিকভাবেই সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় সে খুশী। 

ভবিষ্যতে তার প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা এবং অংক নিয়ে সে গবেষণা করতে চায়। গবেষণার সুযোগ না পেলে তার দ্বিতীয় পছন্দ মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করা। অরিত্র জানিয়েছে, সে কখনও স্কুল কামাই করেনি। স্কুল যেতে না পারলেই তার ভাল লাগত না। অরিত্র জানিয়েছে, কষ্টের কোনো বিকল্প নেই। কষ্ট করলে যে সাফল্য আসবেই এটাই তার উপলব্ধি।

অরিত্র পাল মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম (পূর্ব বর্ধমান) নিজস্ব প্রতিনিধি , পূর্ব বর্ধমান

Posted by সংবাদ একলব্য on Wednesday, July 15, 2020