টোল ট্যাক্স এর টাকা তছরুপের অভিযোগ প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি পাশাপাশি বিক্ষোভ স্থানীয়দের। যদি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রাক্তন প্রধান মফিজুল রহমান।

পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান ১পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েত। বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন উদায়পল্লি থেকে বেলকাশ স্কুল পর্যন্ত একটি চার কিলোমিটার রাস্তা টোল ট্যাক্স এর জন্য লিজ দেওয়া হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ধাপে ধাপে লিজের পরিমাণ ওঠে সাড়ে নয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট টাকার পরিমাণ ১৮ লক্ষ টাকা। তার কোন সঠিক হিসেব পঞ্চায়েত নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। 

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল পরিচালিত প্রাক্তন প্রধান মফিজুল রহমান। তিনি টেলিফোন মারফত জানান তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে,এলাকাবাসীর কাছে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের সম্পত্তি লিজে দেওয়ার সময় ফাঁকা মাঠে ডাক ওঠে, সেখানে পঞ্চায়েতর সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ফাল্গুনী দাস রজক, সহ-সভাপতি দেবনারায়ন গুহো সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। তাদের উপস্থিতিতে এবং মাঠ ভর্তি লোকের উপস্থিতিতে ডাক হয়, সেখানে অর্থ থছরুপের কোন প্রশ্নই আসে না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ সোম বলেন ২০১৩ থেকে ১৮পর্যন্ত উদায়পল্লি থেকে বেলকাশ স্কুল পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তার টোল ট্যাক্স এর টাকা আদায় হয়েছিল তার সঠিক অর্থের হিসাব পঞ্চায়েতের নেই। সঠিক টাকা জমা পড়েনি।

ধর্মদাস ঘোষ বলেন ২০১৪ -১৫ সালে ওই রাস্তার লিজ উঠে চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।১৫-১৬,ডাক ওঠে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা,এবং ১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে ডাক ওঠে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা। ১৭ সালের শেষে হঠাৎ করে লিস্ট টাঙ্গানো হয় লিজের টাকা জমা না দেওয়ায় টোল ট্যাক্স বাতিল করা হলো। কিন্তু ১৪ থেকে ১৮ পর্যন্ত মোট ১৮ লক্ষ টাকার কোনো সঠিক হিসেব নেই। হিসেবের দাবিতে মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ঘেরাও করেন তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় বাসিন্দারা। 

তৃণমূল পরিচালিত বর্তমান বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহানারা খাতুন বলেন বিগত বোর্ডের আমলে উদয় পল্লী থেকে বেলকাশ স্কুল পর্যন্ত একটা রাস্তায় টোল ট্যাক্স বসানো হয়েছিল। তার টাকা নয় ছয় হয়েছে , সঠিক টাকা পঞ্চায়েতের জমা পড়েনি ।কবে কোথায় ট্রোলের ডাক হয়েছিল কে টেন্ডার নিয়ে ছিলো সেসব বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা স্মারকলিপি জমা দেন। পঞ্চায়েত প্রধান আরও বলেন আগামী ২৮ শে জুলাই এর মধ্যে পঞ্চায়েত অফিসে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হবে।