সঞ্জিত কুঁড়ি, পূর্ব বর্ধমান ঃ
ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্র যাকে গত প্রায় ১বছর ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসকের চেম্বারে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী হিসাবেই সবাই জানতেন। সেই গুপীন মার্ডিই উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে যোগ দিচ্ছেন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে।
বীরভূমের নলহাটির আলমপুরে তাঁর বাড়ি। বাবা মেকাইল মার্ডি মারা যাওয়ার পর দাদু গুপীন মার্ডির (একই নাম) আশ্রয়েই তাঁরা বেড়ে ওঠেন। মা ছাড়াও সংসারে রয়েছেন তাঁর ভাই ম্যানুয়েল মার্ডি। সে বর্তমানে পড়াশোনা করছে। নিজেদের পৈত্রিক ৬ বিঘা জমিও আছে। তাই দিয়েই সংসার চলে। এদিকে, এই অবস্থায় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া এবং ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই বীরভূমের টেকনোলজি ইনষ্টিটিউটে ভর্তি হয় সে। বি টেক পাস করে সেরা দশের মধ্যে থেকেই। এরপর রাজ্য সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন নিগমের সহায়তায় ডব্লিউবিসিএস পড়তে শুরু করে। একইসঙ্গে চলতে থাকে একটি বেসরকারী কোচিং সেণ্টারে ইঞ্জিনিয়ারিং পদে চাকরির জন্য পড়াশোনাও।
গুপীন জানিয়েছে, দুটি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সমস্যা হওয়ায় সরকারী সহায়তায় তিনি শিয়ালদহে বোস ইনষ্টিটিউটে ভর্তি হন। যথারীতি ডবলুবিসিএসের পড়াশোনা করলেও পরীক্ষা দেওয়া হয়নি তার। তার আগেই তার মন টানে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ওপর। এরপর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং পদে পরীক্ষা দেয় ২০১৮ সাল। তারপরেই রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষায় বসে। যথারীতি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদের রেজাল্ট বার হবার আগেই বেড়িয়ে যায় চতুর্থ শ্রেণীর রেজাল্ট। আর তাতেই চাকরী পেয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসকের চেম্বারে কাজে যোগ দেয়। গতবছর জুলাই মাস নাগাদ জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং-এর রেজাল্ট বের হয়। আর সম্প্রতি তার নিয়োগপত্র হাতে এসে পৌঁছায়।
ভিডিওতে দেখুন কি বলছে গুপীন-
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊