শনিবার চিতকারা বিশ্ববিদ্যালয় এর এক্সপ্লোর সিরিজটিতে বক্তৃতা দেন "থ্রি ইডিয়টস"কে অনুপ্রাণিত করা সেই বিখ্যাত সোনম ওয়াংচুক। সোনম ওয়াংচুক ২০১৮ সালে জিতেছেন এশিয়ার নোবেল খ্যাত র্যামন ম্যাগসেসাই পুরস্কার। অনেকের মতে, এই ব্যক্তির জীবনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তৈরি হয়েছিল রাজকুমার হিরানি পরিচালিত বিখ্যাত সিনেমা 'থ্রি ইডিয়টস'। শিক্ষা আর বিজ্ঞান দিয়ে তিনি আজও নীরব বিপ্লব করে চলেছেন লাদাখে।
চিত্রবিদ, শিক্ষা সংস্কারবাদী এবং এসইসিএমএল (শিক্ষার্থীদের ’শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন লাদাখ) -এর প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা ওয়াংচুক চিতকারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে তাঁর লাইভ সেশনে‘ বর্তমান সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
ওয়াংচুক বলেছেন যে যে কোনও শিক্ষাব্যবস্থাকে অবশ্যই সময়ের সত্যিকারের প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেছেন- "যদি আমাদের দেশ ও সমগ্র পৃথিবী শিল্প উত্পাদনের কারণে কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তবে আমরা আমাদের বাচ্চাদের যা সেখাই তা পরিবর্তন করা উচিত।"
তিনি আরও জানান- "আমাদের পৃথীবীর ধ্বংসের দিকে চালিত না করে নিরাময়ের কথা বলা শুরু করা দরকার এবং সময়ের প্রয়োজন অবশ্যই শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত" ।
নতুনত্ব গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াংচুক বলেন, “আজকাল আমরা আমাদের চারপাশে যে উদ্ভাবন লক্ষ্য করি তা বেশিরভাগ স্থানীয় এবং ভারত অঞ্চলভেদে আলাদা সমাধান বিবেচনায় নেয় না। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন- আমরা দিল্লিতে কাঁচের ভবনগুলি দেখতে পাচ্ছি যা পশ্চিমা শহরগুলির স্থাপত্য দ্বারা উপ-শূন্য তাপমাত্রা দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই ধরণের স্থাপত্যগুলি সেই জায়গাগুলিকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে তবে দিল্লির মতো ভারতের অন্য শহরগুলিতে একই স্থাপত্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবহার বাড়িয়ে তোলে যা বিদ্যুতের বিলকে বাড়িয়ে তোলে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত সমস্যার কারণও হয়ে ওঠে। "
চীন তথা চীনা দ্রব্য বর্জনের বিষয়ে এদিন ওয়াংচুক বলেছেন-, “স্থানীয়ভাবে আরও বেশি পণ্য তৈরি করা উচিত, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং ধীরে ধীরে চীনাদের পণ্য ও পণ্যের উপর ভারতীয়দের আসক্তি ও নির্ভরতা দূরীভূত করবে। বিশ্ব বড় বড় উদ্যোগ স্থাপনের জন্য ভারতকে অন্বেষণের অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই আমাদের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। "
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊