• বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপায় জলের সন্ধান 
  • রয়েছে একটা বিশাল সমুদ্র 
  • ইউরোপার সমুদ্র, সম্ভবত ৪০ থেকে ১০০ মাইল (৬৫ থেকে ১৬০ কিলোমিটার) গভীর
  • ইউরোপা পৃথিবীর চাঁদের চেয়ে কিছুটা ছোট

এই বিশাল সৌর জগতে একমাত্র পৃথিবীতেই মানুষের বসবাস। অন্যান্য গ্রহ গুলিতে বসতি স্থাপন করা যায় কিনা তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা কল্পনা চলেই। পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বে প্রাণের অনুকূল, এমন গ্রহের সন্ধান চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। সেই তালিকায় মঙ্গল, শনির উপগ্রহ এনসেলাডাস-এর নাম রয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম বসালো বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপাও। 

প্রাণ সঞ্চারের প্রাথমিক শর্ত জল নাকি রয়েছে ইউরোপায়। রয়েছে একটা বিশাল সমুদ্র। বিজ্ঞানীরা তেমনই দাবি করছেন। তাই তাঁদের মনে হচ্ছে, সেই উপগ্রহে থাকলেও থাকতে পারে প্রাণের সন্ধান। আর যদি নাও থাকে, তাহলে এখানে বসতি গড়ে তুলতে পারে মানুষ। তবে ইউরোপার জলে নাকি কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেশি। তাই যে সমস্ত জীবের পক্ষে কার্বন ডাই অক্সাইডের সাহায্যে জীবন ধারণ করা সম্ভব, তারা এখানে থাকলেও থাকতে পারে।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে, যখন সমুদ্রটি তৈরি হয়েছিল, তখন এটি নিশ্চিতভাবে বসবাসের যোগ্যই ছিল। কিন্তু মানব সভ্যতা সেখানে তৈরি হবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে এখনও অনেকটাই দেরি। কারণ, মানুষের বসবাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরি আছে কি না তা বুঝতে শুধু জলের উপস্থিতি ছাড়াও অন্যান্য উপাদান গুলি কি রয়েছে কি না তা জানতে হবে। 

তরল পানির প্রাপ্যতা আবাসস্থলতার প্রথম পদক্ষেপ। এছাড়াও, সমুদ্র এবং পাথুরে অভ্যন্তরের মধ্যে রাসায়নিক বিনিময় অতীতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে তাই সম্ভাব্য জীবন বাঁচতে রাসায়নিক শক্তি ব্যবহার করতে সক্ষম হতে পারে। জানাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানী দাশওয়ানি। 

দাশওয়ানি বলেছিলেন যে শক্তির জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে এমন কিছু পৃথক ব্যাকটিরিয়ার সাথে জীবাণুগুলি ইউরোপার প্রথম সমুদ্রের মধ্যে উপলব্ধ উপাদানগুলি ব্যবহার করে বেঁচে থাকতে পারে।

ইউরোপা পৃথিবীর চাঁদের চেয়ে কিছুটা ছোট। ইউরোপার সমুদ্র, সম্ভবত ৪০ থেকে ১০০ মাইল (৬৫ থেকে ১৬০ কিলোমিটার) গভীর, পৃথিবীর সমুদ্রের দ্বিগুণ জল থাকতে পারে।

গবেষণায় মূল্যায়ন করা হয়েছিল যে ইউরোপা আগে আবাসযোগ্য ছিল এবং এর বর্তমান আবাসস্থল পরীক্ষা হয়নি, গবেষকরা এখন এটি অনুসন্ধান করছেন।