আম্ফান সাইক্লোনে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ। গতকাল রাতের সাংবাদিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুই চব্বিশ পরগনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি আজ টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গাছ পড়ে মানুষ মারা গেছেন। মোট ক্ষতি এখনও গণনা করা যায়নি বলেই গতকাল জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বিকেলে আম্ফান পরিস্থিতি নিয়ে ফের সাংবাদিক বৈঠকে বসেন। ‘ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বহু এলাকা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে সহযোগিতা। বহু এলাকায় এখনও টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাব বলেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, ‘দেখেশুনে টাকা খরচ করতে হবে। করোনার জন্য ২০০ কোটির তহবিল করেছিলাম। করোনার জন্য যা তহবিল হয়েছিল, তারও বেশি খরচ। ক্ষতিপূরণে রাজ্যকে সাহায্য করুক কেন্দ্রীয় সরকারছোট ছোট জায়গায় আগে কাজ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে রাস্তার কাজ করতে হবে।
পাশাপাশি, কৃষিক্ষেত্র নিয়েও বেশ চিন্তিত তিনি। এরজন্য কৃষি ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, 'কৃষি-উদ্যান পালনে কত ক্ষতি হয়েছে, তার রিপোর্ট চাই কৃষি-উদ্যান পালনে কত ক্ষতি হয়েছে, তার রিপোর্ট চাই। ৭দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে’ মেরামতির কাজে ১০০দিনের কাজকে যুক্ত করতে হবে।'
কোনওভাবেই অকারণে টাকা খরচ করা যাবে না’ ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জানতে ফোন করেছিলেন অমিত শাহ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করুন’ ‘উত্তর-দক্ষিণ পরগনায় খাওয়ার জল নেই। সারানো রাস্তা যেন ৩ বছর স্থায়ী হয়, এটা দেখতে হবে। অতি দ্রুত বাঁধগুলো মেরামত করতে হবে’।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে আম্ফানে মৃতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় উমপুনের তাণ্ডবে রাজ্যে ৭২ জনের মৃত্যু। এর মধ্যে কলকাতায় ১৫ জনের মৃত্যু। ‘হাওড়ায় ৭, উঃ ২৪ পরগনায় ১৭, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬। চন্দননগরে ২, বারুইপুরে ৬, ডায়মন্ড হারবারে ৮। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে রানাঘাটে ৬, সুন্দরবনে ৪জনের মৃত্যু’।
Social Plugin