একুশের নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে পুরভোট কার্যত সেমিফাইনাল ম্যাচ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরেই জনসংযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মমতা বাহিনী। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে দারুণ সাড়া পাওয়ার পর নতুন কর্মসূচি "বাংলার গর্ব মমতা"। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত টানা ৭৫ দিন ব্যাপী চলবে তৃণমূলের বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচি ।
এই কর্মসূচিতে ৭৫ হাজারেরও বেশি সংখ্যক দলীয় নেতা ও কর্মী ১৫ হাজার জনবসতিতে যাবেন। সারা বাংলার ২.৫ কোটি মানুষের কাছে গিয়ে জনসংযোগের কাজ করবেন তাঁরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, মানুষের সঙ্গে দলের যোগাযোগ ‘পুনরুজ্জীবিত’ করার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি।
তিনটি পর্যায়ে এই কর্মসূচিকে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৭ মার্চ থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি, যা শেষ হবে ১৫ মার্চ। এই পর্যায়ে ৩টি কর্মসূচি পালন করা হবে, সেগুলি হল- ৭ মার্চ (তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন), ৮-১৪ মার্চ (জলযোগে যোগাযোগ) ও ১৫ মার্চ (স্বীকৃতি সম্মেলন)।
দ্বিতীয় পর্যায়েও তিনটি কর্মসূচি পালন করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামী ২০ মার্চ থেকে এই কর্মসূচি শূরু হবে, শেষ হবে ১৯ এপ্রিল। এই পর্যায়ে বঙ্গধ্বনী যাত্রা হবে ২০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৪ এপ্রিল সংহতি যাত্রা করা হবে। ১৯ এপ্রিল চেতনা সভা।
তৃতীয় পর্যায়ে ৫টি কর্মসূচি করা হবে। এই পর্যায়ে কর্মসূচি শুরু হবে ২০ এপ্রিল থেকে, চলবে ১০ মে পর্যন্ত। ২০ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত বাংলার বার্তা কর্মসূচি পালন করা হবে। ৩ মে নবীনবরণ সভা। ৮ মে বিশিষ্টা সম্মেলন করা হবে। ২০ মার্চ থেকে ৮ মে ‘তৃণমূলের সঙ্গে মান্যজন’। আগামী ১০ মে তৃণমূলের পদাতিক সম্মেলন।
Social Plugin