pic source:fb 

তিন বছর পর ছাত্র নির্বাচন হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুধবার নির্বিঘ্নেই শেষ হয় যাদবপুরের ছাত্র ভোট। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিএসএফ ঝড়ে উড়ে গেল বিরোধীরা। পাঁচটির মধ্যে পাঁচটিতেই জিতে গিয়েছে ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্ট ফেডারেশনের (ডিএসএফ) প্রতিনিধিরা। 

গণনার শেষে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে মোট ভোট পড়েছে ৮৫৫টি তারমধ্যে ডিএসএফ পেয়েছে ৭২৩টি ভোট। এবিভিপি-র খাতায় ৫৮টি ভোট। এসএফআই পেয়েছে ৪১টি। ভোটের হিসাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে টিএমসিপি। তৃণমূলের দখলে রয়েছে ২১টি ভোট। 

এবারের ছাত্রভোটেই প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং ও কলা বিভাগে মূল আসনের  সিপি, জিএস, এজিএস ডে, এজিএস ইভিনিং প্রায় সব পদেই প্রার্থী দিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের ছাত্র শাখা এবিভিপি। যদিও এবিভিপি এর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়নি গত কয়েক বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় থাকা ডিএসএফ। ডিএসএফ এর বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অভিক পাল আগেই বলেছিলেন,"গত ৪৩ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষমতা ডিএসএফের হাতেই ছিল, এবারও তাই হবে।"

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভোট পেলেও কলা বিভাগ ও বিজ্ঞান বিভাগে হিসেবের মধ্যেই এল না এবিভিপি৷ বিজ্ঞান বিভাগে বিপুল ব্যবধানে জয় পেল স্বাধীন ছাত্র সংগঠন ‘উই দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ আর কলা বিভাগে ক্ষমতা ধরে রাখলো এসএফআই৷

সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। ক্যাম্পাসে চাপা উত্তেজনা থাকলেও এখনও কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এদিন সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে ভোটগ্রহণ পর্বের উপর নজরদারি চালান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। ভোটে অশান্তির কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থা থেকে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল।

নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে কি বললেন কমঃ সুজন চক্রবর্তী তা শুনেনিন ভিডিওতে-