চিনের নাগরিক  সর্দি-কাশি নিয়েই কলকাতায় ফিরেছিলেন, প্রথমে অ্যাপেলো হাসাপতালে ভর্তি করা হলেও পরে সংক্রমণ এড়াতেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে। 

আঠাশ বছর বয়সী চিনের নাগরিক জো হুয়ামিন গত ছ’মাস ধরে নানা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। নামিবিয়া, মরিসাস, মাদাগাস্কার ঘুরে চিন হয়ে ২৪ জানুয়ারি কলকাতায় আসেন। 

জানা গেছে, জ্বরে কাবু হয়ে তিনি নাকি নিজেই অ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরে তাঁকে পাঠানো হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তাঁর শারীরিক অবস্থা ও উপসর্গ দেখে ডাক্তারদের ধারণা নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সঙ্গে নিয়েই ভারতে ঢুকেছেন জো। জো-এর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মত, নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ অনেকটাই সার্স বা ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম’-এর মতো। প্রথমে, প্রবল জ্বর-সর্দি-কাশি থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন রোগী। সংক্রমণ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা শরীরেই। কলকাতায় ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। 

সূত্রের খবর, সংক্রামিত রোগীদের আলাদা করে রাখার জন্য হাসপাতালে ১৬টি কেবিন ও দু’টি আইসিইউ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে কথা হলে প্রাথমিকভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর মতো যাবতীয় ওষুধপত্রও মজুত রাখা হয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ টিম তৈরি রাখা হয়েছে। 

সোমবার ছাপড়ার বাসিন্দা একতা কুমারী নামে এক তরুণী চিন থেকে ফেরার পরেই সর্দি-কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হলে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, টেস্টের পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সব উপসর্গই দেখা গেছে মেয়েটির মধ্যেই। 

অন্যদিকে দিন দুয়েক আগে চিন-ফেরত দুই যাত্রীর থেকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়ানোর পরে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দপ্তর। চিনে থেকে দেশে ফেরা মানুষজন যাঁরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বা সর্দি-জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত তাঁদের জন্য কয়েকটি হাসপাতালে তৈরি হয়েছে বিশেষ ওয়ার্ড, প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিক্যাল টিমকে।