"এখন অবধি আমি কখনও রাজনীতির কথা বলিনি, তবে এখন আমি বলতে চাই যে ২০১২ সালে যারা রাস্তায় বিক্ষোভ করেছিল, আজ একই লোকেরা রাজনৈতিক লাভের জন্য কেবল আমার মেয়ের মৃত্যুর সাথে খেলছে।" - এভাবেই বললেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী।

আশা দেবী আরও বলেন- "২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন 'বহুত হুয়া নারীপে বার, আগলে বার মোদী সরকার' আজ তাকেই অনুরোধ করছি ২২ তারিখ এই চারজন দোষীকে শাস্তি দিয়ে দেখিয়ে দিন আপনি দেশের রক্ষাকর্তা আপনি  মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারেন।" 



প্রসঙ্গত দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে। আজ সকালেই নির্ভয়াকাণ্ডের এক আসামি মুকেশ সিং-র প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। 

এরপরই তিহার জেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পাতিয়ালা হাউজ় কোর্টকে এই বিষয়ে জানান। পাবলিক প্রসিকিউটর আদালতের কাছে নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আবেদন জানান।

জবাবে আদালত জানায়, আগে মুকেশ সিং কে জানাতে হবে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপর সাড়ে চারটে পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখা হয়। এরমধ্যেই আরেক আসামি পবন গুপ্তার আইনজীবী আদালতে জানান যে,তাঁর মক্কেল দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। পবনের দাবি, অপরাধের সময় অর্থাৎ ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সে নাবালক ছিল। গত ১৯ ডিসেম্বর পবনের এই আর্জি খারিজ করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে পবন। 

শুনানি আবার শুরু হলে আদালতে তিহার জেল কর্তৃপক্ষের আইনজীবী বলেন, মুকেশ সিংকে জানানো হয়েছে যে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন। এরপরই আদালত নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় তিহার জেলে ফাঁসি হবে নির্ভয়াকাণ্ডে আসামিদের।