মুখ্যমন্ত্রীর অনশনের রেকর্ড ভাঙ্গার মুখে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক ভগীরথ ঘোষ আজ স্যোশাল মিডিয়াতে জানান - "আগামী পাঁচ দিনের জন্য স্কুল বয়কট সাময়িক স্থগিত রাখা হলো।।"  

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে- বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে করে স্টিয়ারিং কমিটির এই ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক পার্শ্বশিক্ষক  স্কুলমুখী হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে। তাহলে সেক্ষেত্রে আন্দোলন কিভাবে চলবে?

অভিজ্ঞ মহলের ধারণা - সরকার কে আলোচনা করানোর জন্য কিছুটা চেষ্টা করানোর জন্য কিছুটা নমনীয় হওয়া এবং সেই সঙ্গে   পার্শ্বশিক্ষকরা যে ছাত্র ছাত্রী দের পক্ষে কাজ করে এই বিষয়ে সরকার কে বার্তা দেওয়া। হয়তো এই উদ্দেশ্যেই এরকম সিদ্ধান্ত।

সূত্রের খবর- রাজ্য সরকার আলোচনায় বসতে চাচ্ছেন বলেই এরকম সিদ্ধান্ত ঐক্যমঞ্চের। শিক্ষামন্ত্রী পার্শ্বশিক্ষকদের সাথে এতদিন যাবৎ কোন বৈঠকে আগ্রহী হননি। কিন্তু গতকাল সংবাদ মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন- পার্শ্বশিক্ষকরা আলোচনায় বসলে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

মূলত শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই ঐক্যমঞ্চের পক্ষথেকে পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থার কথা ভেবে আজ শিক্ষামন্ত্রীকে পুনরায় চিঠি পাঠিয়েছেন। আর এই চিঠি পাঠানোর পরই ঐক্যমঞ্চের স্কুল বয়কটের সিদ্ধান্ত সাময়িক স্থগিত রাখার ঘোষণা করেন যুগ্ম সম্পাদক ভগীরথ ঘোষ।

স্থগিত ঘোষণার পরপরই অন্যান্য পার্শ্বশিক্ষকদের মধ্যে স্বভাবতই এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঐক্যমঞ্চের এক সদস্যের বক্তব্য- "আলোচনার টেবিলে সরকারের তরফে সম্ভাবনা মূলক  প্রথম প্রশ্নের উত্তর তৈরী রাখার জন্যই রাজ্য নেতৃত্বের এরূপ টেকনিকগত সিদ্ধান্ত নিতে হলো।এছাড়াও আলোচনার টেবিলে  উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির অভিনব  কৌশল বটে,যা অনেকটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করবে বলে আমার মত।দাবী আদায়ের ক্ষেত্রে তিন কদম এগিয়ে, পরে পরিস্থিতি সাপেক্ষে এক কদম পিছিয়ে আসাটা কূটনীতিক ভাবে অন্যায় নয়।" 


তবে অভিজ্ঞমহলের ধারণা পূর্ববর্তী আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চ স্কুল বয়কটের সিদ্ধান্তকে সাময়িক স্থগিত করে  দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন।


বিস্তারিত শুনেনিন ঐক্যমঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে কি জানিয়েছেন-

নিয়মিত আপডেট পেতে নজর রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে -



like our facebook page for more update