আরিফ হোসেন, ৮ই ডিসেম্বর, ওকড়াবাড়ী: বেশ কিছুদিন আগে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছিল পানীয় জলের সংকট। অনবরত জল অপচয়, দূষণ, জলের কল খোলা থাকায় প্রতিনিয়ত জল অপচয় হয়। যা নিয়ে সামাজিক মাধ‍্যম ও সংবাদ মাধ‍্যম গুলো সরব হয়েছে বারে বারে। প্রচারভিযান চালানো হয়েছিল জল অপচয় বন্ধ করতে। 

দিনহাটার ওকড়াবাড়ী অঞ্চলের অন্তর্গত দুঃখাভোলার কুঠি গ্রামের ছাট গিতালদহ নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় ও ছাট গিতালদহ জুনিয়ার স্কুল প্রাঙ্গনে একটি জলের কল বসানো হয়েছে, যা সবসময় খোলা অবস্থাতেই রয়েছে। জল অনবরত পড়তে থাকায় বিদ‍্যালয় প্রাঙ্গনের একটা অংশ জলপূর্ন বলা চলে চাষের জমিতে বা ডোবায় পরিণত হয়েছে। বিদ‍্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের দৈনিক খেলাধুলায় বেশ সমস‍্যার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এ নিয়ে কোনোরুপ হেলদোল নেই বিদ‍্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা বা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মকর্তাদের। তীব্র ক্ষোভে ফুসছে পার্শ্ববর্তী এলাকার শিক্ষিত যুবক-যুবতী। সমাজসেবী সংস্থা "সার্কেল" এর সভাপতি আব্দুল রফিক মহাশয় জানান, এটা আজ বা কালের ঘটনা নয়। দীর্ঘ বেশ কিছুদিন ধরেই এরুপ অবস্থা দেখা যাচ্ছে । বিদ‍্যালয়ের মাঠে যেহেতু এইরকম সমস‍্যা তা বিদ‍্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যাদের ওপর ভর করে বেঁচে আছে সমাজ তাদের এরুপ খামখেয়ালিপনা সত‍্যিই লজ্জার। অন‍্যদিকে, গৃহশিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, অনেকদিন ধরেই জলের কল খোলা থাকায় বিদ‍্যালয় মাঠ জলে কাঁদায় একাকার। এর জেরে সমস‍্যায় পড়ছে ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার মানুষ। সেইদিকটা যেমন সবার নজরে থাকা উচিত অন‍্যদিকে জল অপচয় রোধ বন্ধ করাও একটা গুরু দায়িত্ব। শিক্ষক শিক্ষিকা ও গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত। উপযুক্ত ব‍্যবস্থা নিয়ে জলের কল মেরামত করে সকলের উপযোগী করে তোলা উচিত। এরকম ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিশিষ্ট মহলের সকলে।