নিজস্ব প্রতিনিধি- গতকাল বিজিটিএ'র তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে তারা নির্ধারিত পে স্কেল না পেলে উচ্চ মাধ্যমিকে কোন ক্লাস নেবেন না, এবং অমরণ অনশনে বসবেন। এই কথা যে আস্ফালন নয় তা প্রমান করলো জনজোয়ারে ভেষে যাওয়া 'বারাসাত বিক্ষোভ সমাবেশ'! আজ উত্তর ২৪ পরগনা বিজিটিএ জেলা কমিটি উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসাতে টিজিটি স্কেল, কেরিয়ার এডভ্যান্সমেন্ট স্কিম সহ পিজিটি ও টিজিটি টিচারদের মুল বেতনের পার্থক্য কমানো, কন্ট্রোল অফ এক্সপেন্ডিচার অ্যাক্ট ২০০০৫ বাতিল প্রভৃতি দাবীতে আয়োজন করে এক বিক্ষোভ সমাবেশের। ঐ সমাবেশ কার্যত জনজোয়ারে পরিনত হয়। অসংখ্য গ্র্যাজুয়েট টিচার এমন কি পিজি টিচার রা ও ক্যাস দাবীর কারনে সনাবেশে যোগ দিয়ে মিছিলে অংশ নেন। বিক্ষোভ দেখানোর পর মিছিল করে প্রায় পাঁচ ছ শো টিচার বারাসাত ডিভিশনের ডি আই কে তাদের দাবী পত্র তুলে দেন।
এদিকে আজ হাই কোর্টে ম্যান্ডামাস জনিত অবমাননা মামলাটির শুনানি পর্বে সরকার পক্ষের জুনিয়র আইনজীবী কেন রায় মানা হয় নি এ ব্যাপারে তার বক্তব্য পরিষ্কার করে পেশ করতে পারেন নি। বিজিটিএ'র উকিলের সওয়াল জবাবের কাছে কার্যত আত্মসমর্পণ করে তিনি বলেন যে তাদের সিনিয়র উকিল কে তার বক্তব্য পেশ করতে দেওয়া হোক। যেহেতু তিনি কোর্টে উপস্থিত ছিলেন না তাই একসপ্তাহের সময় চাওয়া হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি তা মঞ্জুর করেন। প্রসঙ্গত ঐ কোর্টে প্রতি শুক্রবার অবমাননা মামলার জন্য নির্ধারিত।
বারাসাত ডি আই ডেপুটেশন শেষে বিজিটিএ উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা কমিটির সভাপতি শ্রী সুকৃতি মাইতি ও সম্পাদক দীপ্ত কুমার লস্কর যৌথ বিবৃতিতে জানান,"বিজিটিএ'র সহ্যের ও একটা সীমা আছে। পশ্চিম বঙ্গের গ্র্যাজুয়েট টিচার রা যে বঞ্চিত তা হাই কোর্টে প্রমাণিত, কিন্তু সেই হাই কোর্টের রায় কে পাত্তা দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। রায় মানাতে আন্দোলন করতে হচ্ছে আবার অবমাননা মামলা ও করতে হচ্ছে। সেখানে ও সরকার সদুত্তর দিতে পারছে না ডেটের পর ডেট নিচ্ছে। কিন্তু বিজিটিএ মনে করে আইনের জয় তো হবেই কিন্তু গনতান্ত্রিক আন্দোলন ও তুঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে। কেননা গ্র্যাজুয়েট টিচার রা ভিক্ষে চাইছে না, চাইছে তাদের ন্যায্য অধিকার যার আইনগত ভিত্তি আছে।" তারা আরো বলেন, "গতকাল আমরা আমাদের কর্মসূচী ঘোষণা করেছি তা আমরা বাস্তবায়িত করবই! মানুষ যে সরকারে আচারণে প্রচন্ড বীতশ্রদ্ধ তা আজকের সমাবেশর উপস্থিত ই প্রমান করে দিচ্ছে!"
বিজিটিএ'র সাধারণ সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য কে টেলিফোনে ধরা হলে তিনি বলেন' "ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রাখুন,বিজিটিএ টিজিটি আদায় করেই ছাড়বে! সরকার কে আমরা অনেক সময় দিয়েছি,আর নয় রোপাটা বেরোতে দিন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরা যদি ৯০০০ -৪০৫০০ পে স্কেল ও ৪৬০০ গ্রেড পে না পাই উচ্চ মাধ্যমিকে অনেক বিষয় ই উঠে যাবে, কেন না ঐ বিষয়গুলি আমরা আর পড়াবো না। পাশাপাশি পশ্চিম বঙ্গে অনশণ সহ বিদ্রোহের আগুন জ্বলবে।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊