![]() |
pic source: firstpost file |
২০০১ সালে নতুন দিল্লির ভারতীয় সংসদ ভবনে লস্কর-ই-তৈবা ও জৈস-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের বহু-আলোচিত হামলার ঘটনা ঘটে আজকের দিনেই। এই হামলায় এক জন সাধারণ নাগরিক-সহ বারো জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং উভয় দেশের মধ্যে একটি সীমান্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর, পাঁচজন বন্দুকধারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও সংসদের স্টিকার লাগানো গাড়িতে চড়ে ভারতীয় সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে। বন্দুকধারীরা গাড়ি নিয়ে সোজা তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি কৃষণ কান্তের কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েন (কৃষণ কান্ত সেই সময় সংসদ ভবনের মধ্যে ছিলেন)। তারপর গাড়ি থেকে বেরিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে। উপ-রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী ও নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পালটা গুলি চালায়। তারপর সংসদ চত্বরের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। মহিলা কনস্টেবল কমলেশ কুমারী প্রথম জঙ্গি স্কোয়াডটির আত্মগোপনের স্থানটি চিহ্নিত করেন। সুইসাইড ভেস্ট পরিহিত এক জঙ্গিকে গুলি করা হলে ভেস্টটি বিস্ফোরিত হয়। অপর চার বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের গুলিতে পাঁচ জন পুলিশকর্মী, একজন সংসদ নিরাপত্তা কর্মী ও একজন মালী নিহত হন। আহত হন মোট ১৮ জন। তবে মন্ত্রী বা সাংসদেরা কেউ হতাহত হননি।
আজ এই দিনটিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ । টুইট বার্তায় জানান- আত্মত্যাগকারী শহীদদের অনুকরণীয় বীরত্ব ও সাহসকে স্যালুট জানায় সমগ্র ভারতবাসী।
A grateful nation salutes the exemplary valour and courage of the martyrs who sacrificed their lives while defending the Parliament from terrorists on this day in 2001. We remain firm in our resolve to defeat and eliminate terrorism in all its forms and manifestations.— President of India (@rashtrapatibhvn) December 13, 2019
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জানান- "আজ ভারতীয় সংসদে হামলার 18 তম বার্ষিকী। সেই দিন যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের স্মরণ করছি। যারা দায়িত্ব পালনে আহত হয়েছে তাদের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে। সভ্য সমাজে সন্ত্রাস ও সহিংসতার কোনও স্থান নেই।"
Today is the 18th anniversary of the attack on Indian Parliament. Solemnly remembering those who lost their lives on that day. My sympathies with those who were injured in the line of duty. Terrorism and violence have no place in a civilised society— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 13, 2019
source: wikipedia
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊