আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এক পার্শ্বশিক্ষিকার মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। পার্শ্বশিক্ষিকার অকাল মৃত্যু আন্দোলনে দিয়েছে ঘৃতাহুতি। অন্যদিকে একাধিক অনশনকারি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও কোনমতেই দুর্বল হয়ে পড়ছে না এই আন্দোলন।

আন্দোলনের শুরুর দিনথেকেই একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যেমন আন্দোলনে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে তেমনি রাজ্যের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদেরও আন্দোলনে সমর্থন করতে দেখা গেছে।

যত সময় গড়াচ্ছে আন্দোলন তত শক্তিশালী হচ্ছে। ভাতা ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন কাঠামো যতদিন চালু করা না হবে ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে ঐক্যমঞ্চ।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিকাশভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য যাত্রা করেছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। বর্তমানে রেকর্ড জমায়েত।

অনশনের কারণে আহারে বাংলা উৎসবে সমস্যা হচ্ছে বলে হাইকোর্টে দাবি করা হয়৷ আর সেই কারণে পার্শ্ব শিক্ষকদের অবস্থান তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হয় কিন্তু, সেই আর্জি খারিজ করে পার্শ্ব শিক্ষকদের সতর্ক করে মেলার প্রবেশ পথে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ মেলার প্রবেশপথের ২০ মিটারের মধ্যে জমায়েত করা যাবে না বলে হাইকোর্টের তরফে দেওয়া হয় নির্দেশ৷ ফলে, ওই শর্ত পালন করলে পার্শ্ব শিক্ষকদের অবস্থানে কোনও প্রভাব পড়বে না৷ যেমন আন্দোলন চলছে, তেমনই চলবে বলেও জানিয়েছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ।

আজ দুপুরে কলকাতা পুলিশের পক্ষথেকে একটি ঘোষণা দেওয়া হয়। - মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে জানানো হয় মেলা প্রাঙ্গনের সামনে যে গেটে শিক্ষকরা অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সেই গেটটি ছেড়ে দেওয়ার এবং সেই সাথে ছাউনি খুলে নেওয়ার কথা বলা হয়। যাতে মেলা যাত্রীদের কোন অসুবিধা না হয় ।

বিস্তারিত শুনুন ভিডিওতে-