শঙ্কর পাণ্ডে:-বাসন্তী,(দঃ)২৪ পরগণা-
প্রতিটা উৎসবের সৃষ্টির অন্তরীক্ষে থাকে এক আনন্দ মুখর মুহূর্ত।কিন্তু চুনাখালি অঞ্চলের জানা পাড়া রাস মেলার সৃষ্টি আট জন তরুণ তাজা প্রাণের বলিদানের মধ্যে দিয়ে।বাংলা ১৪০৮ সাল এমনি এক রাস মেলার দিনে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালি থানার অধীনস্থ গাববেড়িয়াতে চুনাখালি ফেরি ঘাট থেকে ভুটভুটিতে করে রাস মেলা দেখতে যাচ্ছিল বেশ কিছু মানুষ,কিন্তু জানা পাড়া ফেরি ঘাটের কাছে আসতেই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।ভুটভুটি উল্টে বিদ্যাধরী নদীতে প্রান হারিয়ে ছিলো আট আট জন তরুণ তাজা মানুষ।সেদিনের সেই দুর্ঘটনার পরিপেক্ষিতে স্বজন হারানোর বেদনায় শোক-স্তব্ধ হয়ে পড়ে ছিলো সমগ্র চুনাখালি অঞ্চল।ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ১৪০৯ সালে বর্তমান বিধায়ক এবং তৎকালীন প্রধান মাননীয় জয়ন্ত নস্করের প্রচেষ্টায় শুরু হয়ে ছিলো জানা পাড়া সার্বজনীন রাস মেলা। কারণ একটাই আর নদী পেরিয়ে রাস মেলা দেখতে যেতে না হয়,যেন কোনো পরিবারকে স্বজন হারানোর বেদনায় আর্তনাদ করতে না হয়।বর্তমান বছরে রাসমেলা পূর্বে বুলবুলের তাণ্ডবে রাসমেলা প্রাঙ্গণ পুরোপুরি তছনছ হয়ে যায়।কিন্তু জয়ন্ত বাবুর উদ্যোগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাসমেলা প্রাঙ্গণ পুনরায় নব কলেবরে সেজে ওঠে।মেলার শুভ সূচনা হয় স্মৃতি বেদিতে মাল্যদান ও ভুটভুটি দুর্ঘটনায় নিহতের ব্যাক্তিদের আত্মার শান্তি কামনায় নীরবতা পালনের মাধ্যমে।মেলা কমিটির সভাপতি-অরুণ মণ্ডল প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বজন হারানোর বেদনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।জাতি,ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সকলেই রাসমেলায় উপস্থিত হয়ে জাতিভেদাভেদ ভুলে আনন্দে মেতে উঠে।বর্তমান বছরে মেলার নবম দিনে রাসমেলা সাংস্কৃতিক মঞ্চ থেকে ২০০ জন দুস্হ মায়েদের হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়া হয় রাসমেলা কমিটির পক্ষ থেকে।বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দঃ২৪পরগণা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদস্য মাননীয় নিমাই মালী, পঞ্চায়েত সদস্য মাননীয় অমৃত সরকার।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাপ্পাদিত্য হাউলি ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊