দেশের ক্রেতা মূল্যসূচক বা সিপিআই এর উপর ভিত্তি করে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বকলমে স্যাট। স্যাট রায়ে জানিয়েছিল, কত ডিএ বকেয়া, নির্ধারণ করতে হবে ৩ মাসের মধ্যে আর দিতে হবে ৬ মাসের মধ্যে! রাজ্য সরকার দেরি করছিল বলে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের পক্ষ থেকে নবান্নে মুখ্য সচিব মলয় দে ও অর্থ সচিবের কাছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা মামলায় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের রায়ের সার্টিফাইড কপি জমা দেন মামলাকারী তথা কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
মলয় মুখোপাধ্যায় তখন জানান রাজ্য সরকার এতটাই উদাসীন ২৬শে জুলাই থেকে এতদিন হয়ে যাওয়ার পরেও রায়ের সার্টিফায়েড কপিটাই তোলেনি, তাই বাধ্য হয়ে আমরাই তা জমা করলাম।
বর্তমান পরিস্থিতি হল স্যাটের দেওয়া সেই তিন মাসের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে তেমনভাবে কোন সদর্থক পদক্ষেপ চোখে পড়েনি মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে! আজ কনফেডারেশন (আইএনটি ইউ স)এর পক্ষথেকে ট্রাইবুনালে "আদালত অবমাননা" মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি আগামী ০৫-১১-১৯ তারিখ ২নং বেঞ্চে উঠতে চলেছে বলে জানা গেছে। 

কনফেডারেশন (আইএনটি ইউ স)এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন- "আমরা আজ (৩১|১০) ট্রাইবুনালে "আদালত অবমাননা" মামলা দায়ের করলাম। মামলাটি আগামী ০৫|১১|১৯ ২নং বেঞ্চে উঠতে চলেছে।
তিনি আরও জানান "আজ (৩১|১০)সরকারও ট্রাইবুনালে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন। হয়ত অনেকেরই প্রশ্ন, তিন মাস অতিক্রান্ত, তথাপি সরকার আজ কি ভাবে রিভিউ পিটিশন দাখিল করল বা করতে পারল। এই প্রশ্ন আমি আমাদের আইনজীবির কাছে রেখেছিলাম? তিনি বললেন পিটিশন দাখিল করার সময় পিটিশনের বিষয়বস্তু কি তা বিচার করা কোনও পিটিশন গ্রহনকারী কর্মীর কাজ নয়।তবে মামলাটি যেদিন উঠবে আমরাই তা বিচারক দ্বয়ের কাছে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরব। তার জবাবদিহি সরকারকেই করতে হবে এবং বিচারক দ্বয় সিদ্ধান্ত নেবেন। আশাকরি মামলাটি অবশ্যই খারিজ হয়ে যাবে।"