নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আজ পুর্ব মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শক(মাধ্যমিক) দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও থেকে চাপের মুখে বিজিটিএ'র ডেপুটেশন নিতে একপ্রকার বাধ্য হলেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান, বিজিটিএ'র পূর্ব নির্ধারিত সুচী অনুযায়ী তমলুক রাজ গ্রাউন্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সমাবেশে প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্র্যাজুয়েট টিচার অংশ নেন। সভানেত্রীর দায়িত্ব সামলান শিক্ষিকা শ্রীমতী শাশ্বতী মাইতি। সমাবেশ শেষে মিছিল সহযোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ডি.আই. আমিনুল আ্যাহেসান কে ডেপুটেশন দিতে গেলে ঘটে বিপত্তি। তিনি পূর্ব নির্ধারিত ডেপুটেশন নিতে অস্বীকার করেন। টিচাররাও চেপে ধরেন। তখন তিনি তাদের সাথে চুড়ান্ত অভদ্র আচারন করেন বলে অভিযোগ।
'টিচার রা ডেপুটেশনের পারমিশন নিতে এসে অফিসের স্ট্যাম্প চুরি করেছেন' বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতেই ঘটে চরম বিপত্তি। টিচাররা ক্ষেপে যান। শুরু হয় বাগবিতণ্ডা! "পুর্ব মেদিনীপুর ডি আই দুর হটো"ধ্বনিতে ডি আই অফিস কেঁপে ওঠে। পোঁছে যায় মিডিয়া। কিছুক্ষন ধরে চলে তুমুল গন্ডগোল, পরে অবশ্য চাপের মুখে আমিনুল অ্যাহেসান সাহেব ডেপুটেশন নিতে বাধ্য হন। ঘটনাটিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব তাদের আন্দোলনের সাফল্য হিসাবে দাবী করেছে। ডেপুটেশন শেষে পুর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজিটিএ'র প্রভাবশালী নেত্রী তথা রাজ্য কমিটির সদস্যা শাশ্বতী মাইতি সাংবাদিকদের বলেন," সরকার তথা তার শিক্ষা দপ্তরের কিছু অফিসার অভদ্রতার চুড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছে! সরকারের পাশাপাশি তার কিছু কর্মচারী শিক্ষকদেরকে মান মর্যাদা তলানিতে নামিয়ে দেওয়ার জঘন্য চেষ্টা করছে কেবলমাত্র সরকার কে খুশী করতে! তারা শিক্ষকদের সাথে 'কুকুর ছাগল'এর মত ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। বিজিটিএ এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আজ পুর্ব মেদিনীপুর ডি আই আমিনুল অ্যাহেসান নির্ধারিত ডেপুটেশন নিতে অস্বীকার করেও টিচারদের কে 'চোর' আখ্যা দিয়ে টিচারদের প্রতি সরকারের চুড়ান্ত অসম্মানজনক মনোভাবের পরিচয় দিলেন। সরকারের চুড়ান্ত অবহেলা ঔদাসিন্যে পশ্চিম বঙ্গের গ্র্যাজুয়েট টিচার রা আজ অর্থনৈতিক ভাবে চুড়ান্ত বঞ্চনা ও অমর্যাদার স্বীকার বলে জানান বিজিটিএর উপস্থিত শিক্ষকরা।
শিক্ষক শ্রী পার্থ রায় বলেন,"পুর্ব মেদিনীপুর বিজিটিএ রাজ্য কমিটির নির্দেশের অপেক্ষায় আছে, সবুজ সিগনাল পেলে সরকারে এই অনমনীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে গন আন্দোলন শুরু হবে। আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ডি আই যে ব্যবহার করলেন তার জন্য সরকার কে ধিক্কার জানাই!" বিজিটিএ রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্যের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "সরকার হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট টিচারদের সাথে তঞ্চকতা তো করছিলই, কিন্তু সরকারি অফিসারকে দিয়ে আন্দোলন বাঞ্চাল করতে টিচার দের সাথে এমন অভদ্রতা করা হবে এমনটা স্বপ্নেও ভাবিনি! গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় কোন রাজ্য সরকারই হাই কোর্ট কে অবমাননা করতে পারেন না, কিন্তু পশ্চিম বঙ্গ সরকার তা করে গ্র্যাজুয়েট টিচারদের চরম সর্বনাশ করেছেন। বিজিটিএ এর বিরুদ্ধে ছুটির পরেপরেই তীব্র আন্দোলনে নামবে।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊