সংবাদ একলব্যঃ
পুজোর মরশুম শেষ হলেই বঙ্গ রাজ্যরাজনীতিতে বিরােধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি, ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে মিশন বিধানসভা নিয়ে। বঙ্গে গেরুয়া পতাকা ওড়ানোই এখন বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যে এবার বঙ্গ-বিজেপিতে একসাথে একাধিক রদবদল আসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
নভেম্বর মাসেই রদবদল ঘটতে চলেছে বিজেপির রাজ্য কমিটিতে। একেবারে খােলনলচে বদলে যেতে চলেছে রাজ্য বিজেপির।
ক্ষমতায় না আসতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ বিজেপির একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। আদি বনাম নব্য লড়াইয়ের খবর প্রায়ই সংবাদ শিরােনামে। সেইসাথে বিজেপির সংগঠন বৃদ্ধি ও সেখানে 'বেনােজল ঢোকা নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাওয়া নিয়ে লড়াই।
একাধিক ঘটনা দলের ভাবমূর্তি ক্ষতি করছে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর তাই, বিজেপির সংগঠনকে আরও মজবুত করতে এবার রাজ্য কমিটিতে এই রদবদল হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
একই সাথে NRC ইস্যু নিয়ে দিলীপ বাবু যতই বিতর্কিত কথা বলুন না কেন গোটা রাজ্যজুড়ে দিলীপ ঘােষ যে পরিশ্রম করছেন - তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই মনে করা হচ্ছে তিনিই থেকে যাবেন রাজ্য সভাপতি। তবে সূত্রের খবর সাংগঠনিক ব্যাপার দেখার জন্য আসতে চলেছেন একজন কার্যকরী সভাপতি। আর এক্ষেত্রে জিষ্ণু বসু মনোনীত হতে পারেন বলে সূত্রের খবর। যেহেতু তিনি স্বয়ং মােহন ভাগবতের অত্যন্ত আস্থাভাজন। ফলে, তিনি সাংঠনিক দিকটা দেখলে – একসঙ্গে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য বিজেপির আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা মুকুল রায় কি ব্রাত্যই হয়ে থাকবেন? এক্ষেত্রে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুকুলবাবুর কাজে খুশি হলেও, নারদ ও সারদা কাণ্ডে তাঁর নাম থাকাটা আপাতত তাঁর বিপক্ষে ।
তবে শুধু মাদার সংগঠন নয়, এর পাশাপাশিই শােনা যাচ্ছে এবার বড়সড় পরিবর্তন হতে চলেছে বিজেপির যুব সংগঠনেও।
তবে এই পরিবর্তন কতটা ফলপ্রসু হয় এখন সেটাই দেখার।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊