বিজেপি সাধারণত ‘এক ব্যক্তির এক পদ’ রীতি অনুসরণ করে। যে কারণে ধারণা করা হয়েছিল, গত ২০১৯ লোকসভা ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিপরিষদে অমিতের যোগদানের পরে কোনও নতুন নেতাকে বসানো হতে পারে দলের সর্বভারতীয় সভাপতিপদে।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সোমবার জানান, এই বছরের শেষের দিকে সাংগঠনিক নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই তিনি নতুন নেতাকে কেন্দ্রের শাসক দলের সভাপতির পদ ছেড়ে দিতে চলেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই এক জন নতুন সভাপতি দলের দায়িত্ব নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি পদ ছেড়ে দিলেও কি পর্দার আড়াল থেকে দলকে চালিত করার জন্য “সুপার পাওয়ার” হিসাবে থাকবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে ইন্ডিয়া টুডে-র কাছে তিনি বলেন, ২০১৪ সালেও তিনি বিজেপি প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পরে অনুরূপ দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই জল্পনা চাপা পড়ে যায়।
তিনি বলেন, “এটা বিজেপি, কংগ্রেস দল নয়। ফলে এই দলকে কেউ পর্দার আড়াল থেকে চালাতে পারবে না। দল চলবে দলের গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী” । এ দিন তিনি বলেন, “নির্বাচন (সাংগঠনিক) চলছে। এক জন নতুন সভাপতি ডিসেম্বরের মধ্যেই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং দলের বিষয়গুলির দায়িত্ব নেবেন”। তবে নতুন সভাপতিপদে তিনি কোনো নির্দিষ্ট নামের ইঙ্গিত না দিলেও জল্পনা কিন্তু তুঙ্গে।
বিজেপির একাংশ অবশ্য এখন থেকেই পরবর্তী সভাপতি হিসাবে কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডার নাম নিয়ে চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। অমিত সভাপতিপদ ছাড়লে নাড্ডাকেই হয়তো তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হবে, এমন জল্পনাই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে দলের উপর মহলেও।


সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ সিন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।