Sangbad Ekalavya:
“সমগ্র শিক্ষা মিশন” পর্বে যা “সর্বশিক্ষা মিশন” নামে পরিচিত ছিল তারই অধীনে রাজ্যের সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের কাজে যুক্ত হয় এবং ২০১০ সালের মার্চ মাসে এই নিয়ােগ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে প্রায় ৪৮,০০০ পার্শ্বশিক্ষক কর্মরত আছেন। কিন্তু প্রায় ১৫ বছরের অধিক কাল কাজে নিযুক্ত থাকার পরও এবং NCTE Act অনুযায়ী পার্শ্বশিক্ষকরা সকলেই উপযুক্ত যােগ্যতা (D. El. Ed) অর্জনকরলেও এখনও পর্যন্ত তাদের পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা প্রদান করা হয়নি।
এখনও তাদের পারিশ্রমিক বা ভাতা প্রদান করা হয়। অথচ PAB - এ বেতন কাঠামাের উল্লেখ থাকলেও তা প্রদান করার ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত শিক্ষা দপ্তর গ্রহন করেনি। এছাড়াও বেশ কিছু সুযােগ সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত। শুধু তাই নয় পারিশ্রমিক যা পান তা বর্তমানে মূল্যসূচকের নিরিখে জীবন নির্বাহ করা সম্ভব নয়। ফলতঃ গত ৩ - ৪ বছরের মধ্যে ৯২ জন পাশ্বশিক্ষিক শিক্ষিকা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরন করেছেন বা দারিদ্রতার কারনে আত্মহত্যা করেছেন বলে সংগঠনের পক্ষথেকে জানানো হয়। এমতাবস্থায় আজ কোচবিহার পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চ কিছু দাবী নিয়ে বিকাল 3:00 টায় পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের রাজ্য নেতৃত্বের বার্তা অনুযায়ী রাজ্যের সকল জেলার কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে , কোচবিহার DEO(DPO) তে পার্শ্বশিক্ষক দের দাবী দাওয়া সম্বলিত একটি ডেপুটেশন জমা দেয় কয়েকশতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে।
১। পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা প্রদান করতে হবে।
২। সমকাজে সমবেতন সাপেক্ষে বেতন কাঠামাে (Pay band with grade pay)
৩। যে সব পার্শ্বশিক্ষক ২০১৮ সালের বর্ধিত ভাতা পাচ্ছেন না অবিলম্বে তাদের বর্ধিত ভাতা চালু করতে হবে।
৪। মৃত পার্শ্বশিক্ষকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা সহ পােষ্যকে চাকরী প্রদান করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊