শুভাশিস দাশ : পুজো মানেই মন ভালো হয়ে যাবার সময় । এই শারদীয়া পুজো একটা সার্বজনীন উত্সব ! এর সাথে বাঙালীর আবেগ যে জড়িয়ে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
আর এই পুজো শেষে প্রতিমা নিরঞ্জনও যে আমাদের একটা চিরন্তন ভাবাবেগ কাজ করে সেটা সত্যি ।
দিনহাটায় প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে একটা চাপা ক্ষোভ জনমানসে তৈরি হয়েছে বিগত বছর থেকে । এই শহরের ঐতিহ্যবাহী থানা দীঘিতে পুরোনো আমল থেকেই প্রতিমা নিরঞ্জন হতো । গত বছর থেকে প্রশাসন পরিবেশ দূষণের তকমা সেঁটে সেই বিসর্জন নিয়ে চলে গেছেন দিনহাটার পশ্চিম দিকে রথ বাড়ি ঘাটে । যার পাশেই রয়েছে শ্মশান । মৃতদেহ সৎকার করা সেই শ্মশানের পাশেই এই নিরঞ্জনের ঘাট ।
গত বছরই দিনহাটার মানুষজন প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল কিন্তু প্রশাসনের উপরে তো কিছু বলা যাবে না বা আইন কে মানতে হবে ।
এব্যাপারে দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যন অবশ্য বলেছেন আইনের কথাই । ওই চেয়ারে বসে আইন কে তো আর অমান্য করা যায় না !
এবারও ওই ঘাটে নিরঞ্জনের চিঠি ইস্যু হয়েছে ।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে একটা সংস্থা ' অশ্বমেধ' তাঁরা পরিবেশের যুক্তি বুঝিয়ে আবেদন করেছেন যে প্রশাসন বিবেচনা করেন যেন ঐতিহ্যের থানা দীঘিতে বিসর্জন হয় ।
তাঁদের যুক্তি যে নদীতে দূষণ এর ব্যাপকতা আছে আর পুকুরে সেটা কম । বদ্ধপুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জনের সাথে সাথে যদি তোলা হয় ক্রেন লাগিয়ে তবে তার ক্ষতির দিকটা অনেক কম হবে । শহর থেকে অনেকটা দূরে সেই নদীর ঘাটে ছেলেরা গেলেও মেয়েদের সেখানে যাওয়া নিয়ে একটু কিন্তু থেকেই যায় ফলে বিসর্জনের যে সার্বজনীন আনন্দ তা কিন্তু আসলেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে ।
দিনহাটা শহরের একেবারে মাঝখানে এই থানা দীঘি । পাশে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থানা , হাসপাতাল । পুলিশি সাহয্য এবং মেডিক্যাল হেল্প কিন্তু হাতের নাগালে ফলে একটা দিক কিন্তু নিশ্চিত প্রশাসনের যেটা রথবাড়ি ঘাটের আশপাশে নেই । আর ছোটখাটো তো অসুস্থতা এবং কিছু অঘটন এড়ানো যায়না।
দিনহাটা পৌরসভার সৌন্দর্য্যের জন্য থানা দীঘিকে ঘেরা হয়েছে । সামনে একটা বিশাল ফটক আছে বরং প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা হলে ওই গেট দিয়ে একটি করে প্রতিমা প্রবেশ করিয়ে বিসর্জন দেয়া যেতে পারে ফলে রাশ এবং দূর্ঘটনাও এড়ানো যাবে বৈকি ?
প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ সুষ্ট রেখে যদি এখানে বিসর্জন হয় তবে দিনহাটা বাসির মুখে আবার সেই হাসি ফুটে উঠবে !
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊