বেশকয়েকদিন ধরে অনলাইন স্টাফ প্যাটার্ন নিয়ে আশঙ্কার মেঘ তৈরী হয়েছে রাজ্যের গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের মধ্যে। জানা যাচ্ছে যে, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিদ্যালয়,সরকার পোষিত বিদ্যালয়,এবং সরকার কর্তৃক স্পনসর্ড মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের ‘ওয়েব এনাবেলড স্টাফ প্যাটার্ন’ সিস্টেমে নথিভুক্ত করা হচ্ছে।এতে শিক্ষকদের মোট তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে-আপার প্রাইমারি ক্যাটাগরি,মাধ্যমিক ক্যাটাগরি এবং উচ্চমাধ্যমিক ক্যাটাগরি। এর মাধ্যমে যারা পাস ক্যাটাগরিতে শিক্ষকতা করছেন তাদের ‘আপার প্রাইমারি ক্যাটাগরিতে’ অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।এরফলে পাস ক্যাটাগরির শিক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।এই ক্যাটাগরির শিক্ষকদের অভিযোগ যে,তারা নরমাল সেকশনে(পঞ্চম-দশম শ্রেণী)জয়েন করা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার তাদের জোর করে এক ধাপ নিচে নামিয়ে আপার প্রাইমারি সেকশনে দেখাচ্ছে।এরজন্য রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয় নি।শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে দিয়ে  এই প্রক্রিয়াটি চালু করা হয়েছে ।এরফলে ভবিষ্যতে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের মধ্যে পদমর্যাদা এবং আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অনলাইন স্টাফ প্যাটার্ন এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হল গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন(বিজিটিএ)। রাজ্যের সমস্ত গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের আপার প্রাইমারি ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্তি রুখতে মঙ্গলবার তারা হাইকোর্টে একটি মামলা [মেমো নং WP 19133(w)] দায়ের করেন। মামলাটির শুনানি সম্ভবত এই সপ্তাহের মধ্যেই হতে পারে।

তাদের অভিযোগ, এতদিন ধরে তারা বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রদের পড়িয়ে আসছেন।এছাড়া ২০১৬ সালের আগে যারা জয়েন করেছেন সেইসময় এই ‘আপার প্রাইমারি ক্যাটাগরির’ কোনও অস্তিত্বই ছিল না।তাহলে আজ কোন নিয়মের বলে হঠাৎ করে তাদের পদমর্যাদার অবনতি ঘটানো হচ্ছে?এর কারণ হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিংবা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কাছ থেকেও কোনপ্রকার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তারা একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।


(সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, নিউজ সিন্ডিকেট থেকে সরাসরি প্রকাশিত)