সংবাদ একলব্য,৮ আগস্টঃ লোকসভা নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন। প্রশান্ত কিশোরের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছন্নছাড়া দলকে পুনঃরায় সংগঠিত করবার চেষ্টা করছেন।
কোচবিহারে দলের মধ্যে একাধিক গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় তৃণমূলের। আর এই হারের জন্য আঙুল ওঠে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবি ঘোষের দিকে। তাকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
দিনহাটা ২ নং ব্লকে রবিপন্থীদের একটা বড় অংশ এতদিন ক্ষমতায় ছিল। সম্প্রতি রাজনীতির মোড় ঘুরে ফের শক্তিশালী হতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুরু হয়েছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। যার জেরে গত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা।
দিনহাটা ব্লকে বামঘাটি বলে পরিচিত বুড়িরহাটে একসময় দাপুটে নেতা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বীরেন্দ্র নাথ রায়। ছাদ্দাম বলেও তিনি পরিচিত। তৃণমূলের জামানায় তাঁর বাড়িঘর ভেঙ্গে তাকে কোণঠাসা করে রাখা হয়। কিন্তু রাজনীতি থেকে তিনি অবসর নেননি। বিজেপিতে যোগদান করে নিজের রাজনীতির ভিতকে শক্ত করতে থাকেন নীরবে। যার ফলে লোকসভা নির্বাচনে ভালো রকম ফল মেলে বুড়িরহাট ১ নং অঞ্চল থেকে। 
লোকসভা নির্বাচনের পরই কার্যত বুড়িরহাট বিজেপির দখলে আসে। তৃণমূলের ৯ জন পঞ্চায়েত বিজেপিতে যোগদান করে,পঞ্চায়েত গঠন করে। কিন্তু একটা অংশ বিজেপিতে যোগদেওয়ার সুযোগ না পেয়ে ভয়ে এলাকা  ছাড়া হয়। সেই সাথে যুব তৃণমূলের একটা বড় অংশও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। 
তবে চান্দামারি, দেওয়ানহাট, বলরামপুর, তুফানগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল পুনঃরায় সক্রিয় হতে শুরু করায় বুড়িরহাটেও তৃণমুল পুনরুজ্জীবিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে বুড়িরহাট অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে গোপন বৈঠকও করে বলে গোপনসূত্রে খবর। এমনকি বুড়িরহাট বাজারেও রীতিমত চলছে গোপন প্রচার। 
একদিকে তৃণমুলের নেতাদের বিজেপিতে যোগদান বিজেপির কর্মি সমর্থকরা মেনে নিতে পারেনি, অন্যদিকে নেতৃত্বের অভাব - দুই মিলে পুনঃরায় তৃনমূল ফিরে আসার সম্ভবনা রয়েছে বুড়িরহাট ১ নং অঞ্চলে। 
তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবী- 'সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে তৃণমূল। তাই ফিরে আসার চেষ্টা করলেও আখেরে কোন লাভ হবে না।'