WBMSC : শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কড়া নির্দেশ আদালতের, সময় বেঁধে দিলো মাত্র ৩ সপ্তাহ

old building at kolkata



এবার শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কড়া নির্দেশ আদালতের। নিখোঁজ চাকরি প্রার্থীদের উত্তরপত্র খুঁজে বের করতে, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে (WBMSC) ৩ সপ্তাহ সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশের পরেই পুলিসের দ্বারস্থ হল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন (WBMSC)। সল্টলেকের একটি থানায় চাকরি প্রার্থীদের উত্তরপত্র নিখোঁজের একটি ডায়রি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।




ইতিমধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি ও এসএলএসটিতে (SLST) নিক্ষক নিয়োগে (Teachers Recruitment) দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সিবিআই (CBI) তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে শুধু WBSSC নয় আদালতে মামলা হয়েছে মাদ্রাসা কমিশনের বিরুদ্ধেও।




মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগেও বড় অভিযোগ সামনে এসেছে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগেও গায়েব হয়েছে নথি। যা নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শেষবারের মত তিন সপ্তাহের জন্য সময়সীমা দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে। তথ্য দিতে না পারলে বড় সমস্যায় পড়তে পারে কমিশন।




এর আগে "২০১০ সালে মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ আইনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার থাকলেও। ২০১৩-১৪-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা বঞ্চিত হন।'' এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক মামলার শুনানিতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে (Madrasah Service Commission) ৭০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি তাঁর হুশিয়ারী "নতুন করে অনিয়ম খুঁজে পেলে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন (Madrasah Service Commission) তুলে দেব।'' আরও পড়ুনঃ Primary Teachers : শিক্ষক সঙ্কটে রাজ্য ! সঙ্কট মেটাতে প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ করা হচ্ছে হাইস্কুলে !




জানা গেছে, ১০ জন চাকরি প্রার্থী তাদের উত্তরপত্রের কপি পাওয়ার জন্য RTI করে। যদিও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তা না দেওয়ায় তাঁরা আদালতে মামলা করেন।



বিচারপতি অমৃতা সিনহা ১৩ জানুয়ারি কমিশনকে আনসার স্ক্রিপ্ট দেবার জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। কমিশন ৪ জনের আনসার স্ক্রিপ্ট দেয়। বাকি ৬ জনের আনসার স্ক্রিপ্ট দিতে আরো সময় চায়। বিচারপতি কিছুদিন সময় দেন। তারপর থেকে কমিশন বারেবারে সময়সীমা বৃদ্ধি করার আবেদন করতে থাকে আদালতে। কিন্তু বাকি ছয় জনের তথ্য দিতে পারেনি কমিশন।