প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগরে রাজ্যের তিন মন্ত্রী

Gangasagar mela


গঙ্গাসাগর:

হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। কয়েকটা দিন পর শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪। মেলার আগেই গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগরে পৌঁছালো রাজ্যের তিন মন্ত্রী। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়, রাজ্যের সেচ মন্ত্রী প্রাপ্ত ভৌমিক সহ সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। মূলত ৮ জনুয়ারী গঙ্গাসাগর মেলা শুভ উদ্বোধন করতে গঙ্গাসাগরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলা উদ্বোধনের আগে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতিতে কোনরকম খামতি রাখতে চাইছে না, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মেলা প্রস্তুতির কাজ। আর সেই গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪ এর কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সরজমিনে দেখতে গেল রাজ্যের তিন মন্ত্রী। 



আগামী দিনের গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরে অস্তিত্ব ক্রমসংকটে এসে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নদী ভাঙ্গনের কারণে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে বঙ্গোপসাগর। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। নদী ভাঙ্গন রোধে সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। মেলা প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নদী বাঁধের কাজও খতিয়ে দেখেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। 



মেলার সামগ্রিক কাজ খতিয়ে দেখার পর সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তিনি বলেন, শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা, গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষের পথে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে গৌরবময় উপস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪ শুরু হতে চলেছে। গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪ কে মাথায় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক ইতিমধ্যে সেরে ফেলা হয়েছে। এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ তীর্থ যাত্রীদের সমাগম হতে পারে। তীর্থ যাত্রীদের যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় সেদিকেও বিশেষ নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।



সেচ দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির কে রক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যে ই নদী বাঁধের কাজ শুরু করে দিয়েছে সেচ দপ্তরের আধিকারিকেরা। গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে মেলার আগে অস্থায়ী নদী মেরামতির কাজ প্রায় শেষের পথে। গঙ্গাসাগর মেলা কে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক সেরে নেয়া হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।