বীরভূমে স্বাস্থ্য আধিকারিকের করা বধূ নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত ভারতীয় না বাংলাদেশি ধোঁয়াশা আদালতে
বীরভূম জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের করা বধূ নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত যুবক ভারতীয় না বাংলাদেশি পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেলো । সিউড়ি হাটজনবাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
অভিযোগকারিণীর আইনজীবী তথা রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র দেবজিত সরকার বলেন, "অভিযোগকারিণী বিয়ে করেছিল বাংলাদেশি যুবককে তারপর স্পনসরশিপ দিয়েছিল । নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের করার কথা বলেছিল অভিযুক্ত । অভিযুক্ত যুবকের কাছে একাধিক ভোটার কার্ড পরিচয়পত্র আছে । সেটাই আদালতের কাছে তুলে ধরেছি ।"
অভিযোগকারিণীর আইনজীবী সিউড়ি আদালতের প্রবীরকুমার ঘোষ বলেন, "যে আসামীকে পুলিশ ধরেছে তার প্রথম ঠিকানা রয়েছে খন্দেকার আব্দুল মোতালিক বাড়ী বাংলাদেশের নোয়াখালী একাধিক ভোটার কার্ড রয়েছে কোনোটাতে নাম রয়েছে দেবদত্ত মুখোপাধ্যায় পিতা মিলন মুখোপাধ্যায় আবার রয়েছে আবীর মন্ডল পিতা মিলন মন্ডল ব্যারাকপুর সারদাপল্লী নৈহাটি । একাধিক পরিচয়পত্র রয়েছে তারমানে এ সাধারণ কেউ নয় জঙ্গি কার্যাকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে ।"
অভিযুক্ত যুবকের আইনজীবী করম হোসেন খান বলেন, "আবীর মন্ডল নানুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবযানী মন্ডল দশবছর আগে বিয়ে করে এখানেই আছে তাদের একটা সন্তান আছে । কলকাতায় আর্য সমাজে শুদ্ধিকরণ করে নাম করা হয় দেবদত্ত মুখোপাধ্যায় সেখানে দেবযানীর বাবা মায়ের স্বাক্ষর আছে । পরে দেবযানীর বাবা বলে মুখোপাধ্যায় ব্রাহ্মন হলে অসুবিধা তখন কোর্টে এফিডেফিট করে নাম করা হয় আবীর মন্ডল পিতা মিলন মন্ডল । সেটা করা হয়েছিল দেবযানীর বাবা,মা,দেবযানীর কথায় । তার প্রমাণ আদালতে জমা করেছি । একজন সরকারি আধিকারিক হয়ে তথ্য গোপন করার জন্য দেবযানী মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হোক কারন আইন সকলের জন্যই সমান ।"
ছয় জানুয়ারি সিউড়ি সিজিএম আদালতে তোলা হলে ধৃতকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন মহামান্য বিচারক । ফের তেরো জানুয়ারি অভিযুক্ত যুবককে আদালতে তোলা হবে । আদালতে তোলার সময় কেস ডাইরি আনার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক বলে জানা গিয়েছে ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊